সোমবার ৬ অক্টোবর ২০২৫ - ১৮:৫২
ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি নৃশংসতার প্রতি মুসলিম শাসকদের নীরবতা দুঃখজনক; আব্দুল ওয়াসি

ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি বর্বরতা ও নৃশংসতার মুখে মুসলিম শাসকদের নীরবতা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, জামাত-ই-ইসলামি খাইবার পাখতুনখোয়া (মধ্যাঞ্চল)-এর আমির আবদুল ওয়াসি বলেছেন, জামাত-ই-ইসলামি ও আল-খিদমত ফাউন্ডেশন প্রতিটি স্তরে ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে রয়েছে। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি বর্বরতা ও নৃশংসতার মুখে মুসলিম শাসকদের নীরবতা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।

তিনি প্রাদেশিক সরকারের নীতির সমালোচনা করে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালসমূহের বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত জনগণবিরোধী, অন্যায় ও ব্যর্থ নীতির ফলাফল। জনগণের সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো ধনীদের হাতে তুলে দিয়ে সরকার আসলে দরিদ্র ও সাধারণ মানুষের ওপর অন্যায় চাপিয়ে দিচ্ছে। তিনি প্রাদেশিক সরকারকে আহ্বান জানান-অবিলম্বে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় মৌলিক সংস্কার ও স্বচ্ছ প্রশাসন নিশ্চিত করতে।

এই মন্তব্য তিনি পেশোয়ারের মারকাজে ইসলামি-তে অনুষ্ঠিত তেহরিক-ই-মেহনত পাকিস্তান-এর সদস্য ও যুবসমাজের এক সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময় করেন। তিনি বলেন, তেহরিক-ই-মেহনতের উদ্দেশ্য হলো দেশজুড়ে ধর্মীয় ও আন্দোলনমূলক সাহিত্য প্রচার করে চিন্তাগত জাগরণ সৃষ্টি করা এবং দাওয়াতে ইসলামীকে শক্তিশালী করা-যা বর্তমান বিভ্রান্তির যুগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

আবদুল ওয়াসি গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, গাজা ও ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতা মানবতাবিরোধী অপরাধ, এবং মুসলিম বিশ্বের নেতাদের নীরবতা বিশ্ব বিবেকের জন্য লজ্জাজনক।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, জামাত-ই-ইসলামি এবং আল-খিদমত ফাউন্ডেশন ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে সব পর্যায়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

শেষে তিনি তরুণদের আহ্বান জানান, তারা যেন নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিতব্য জামাত-ই-ইসলামি পাকিস্তান-এর কেন্দ্রীয় ইজতেমা-এ-আম-এর প্রস্তুতি উদ্দীপনা ও অঙ্গীকারের সঙ্গে গ্রহণ করে-যাতে এই সমাবেশ জনগণের জাগরণ, ইসলামী বিপ্লব এবং ন্যায় ও ন্যায়বিচারভিত্তিক ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হয়ে ওঠে।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha