সোমবার ১৭ নভেম্বর ২০২৫ - ১৬:৩১
ইরান-আমেরিকা সম্পর্ক নিয়ে সর্বোচ্চ নেতার বক্তব্য: “এটি কৌশলগত নয়, স্বভাবগত বিরোধ”

ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিরোধ কোনো সাময়িক বা কৌশলগত নয়, বরং এটি “মৌলিক ও স্বভাবগত” — এমন মন্তব্য করেছেন ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ নেতা।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিরোধ কোনো সাময়িক বা কৌশলগত নয়, বরং এটি “মৌলিক ও স্বভাবগত” — এমন মন্তব্য করেছেন ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ নেতা। তিনি বলেন, বিপ্লবের আগে ইরান দীর্ঘ দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সম্পূর্ণ আধিপত্যের অধীনে ছিল, এবং বিপ্লব সেই আধিপত্যের মূলে আঘাত হেনেছে বলেই ওয়াশিংটনের ক্ষোভ আজও অব্যাহত।

তার বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, সৌর হিজরির ১৩২০-এর দশক থেকে ইরানের সম্পদ, তেল, ভূগর্ভস্থ সম্পদসহ সব গুরুত্বপূর্ণ উৎস যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে ছিল। “ইরান ছিল আমেরিকার হাতে ধরা এক বিশাল কৌশলগত সম্পদ,” মন্তব্য করেন তিনি।

সর্বোচ্চ নেতার মতে, ইসলামি বিপ্লব সেই “মিষ্টি শিকার” যুক্তরাষ্ট্রের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে—যা আমেরিকাকে গভীরভাবে ক্ষুব্ধ করেছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে ‘ফেরাউনের’ মতো আচরণ করত, আর বিপ্লব সেই ফেরাউনি প্রভাবকে উৎখাত করেছে।

তিনি আরও বলেন, বিপ্লবের পরপরই আমেরিকা ইরানবিরোধী উত্তেজনা ছড়িয়েছে—সম্পর্কচ্ছেদ করেছে, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং বিভিন্ন আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নিয়েছে। এসবই যুক্তরাষ্ট্রের “আধিপত্যবাদী স্বভাব” এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্রের “স্বাধীনতাসন্ধানী চরিত্র”-এর মধ্যে গভীর সাংঘর্ষিক সম্পর্কের প্রমাণ বলে তিনি দাবি করেন।

এ বক্তব্যে তিনি ইরানের যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত করা, সাদ্দাম হোসেনকে উসকে দিয়ে যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া এবং বিভিন্ন প্রচারযুদ্ধের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যখন সুযোগ পায়, তখন যা খুশি তাই করে।

ইতিহাস বিকৃতি নিয়েও তিনি সতর্ক করেন। কেউ কেউ ইসলামি প্রজাতন্ত্রের মার্কিনবিরোধী স্লোগানকে দুই দেশের বিরোধের কারণ হিসেবে তুলে ধরলেও তা “সরলতা” বলে মন্তব্য করেন তিনি। তার ভাষায়, বিরোধের মূল কারণ দুটি ধারার স্বার্থসংঘাত—একদিকে আমেরিকার আধিপত্যবাদ, অন্যদিকে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের স্বাধীনতামুখী আদর্শ।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha