সোমবার ১ ডিসেম্বর ২০২৫ - ০৯:৪০
দুনিয়া ও আখিরাতে ইস্তিগফারের প্রভাব

ইস্তিগফার—অর্থাৎ আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা—মানুষের জীবনকে দুনিয়া ও আখিরাত উভয় পর্যায়েই গভীরভাবে প্রভাবিত করে। কুরআন ও হাদীসের আলোকে দেখা যায়, ইস্তিগফার মানুষের জীবনের ভৌত ও আধ্যাত্মিক দু’দিকেই উপকারী প্রভাব বিস্তার করে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: পাপ মোচনের পাশাপাশি ইস্তিগফার শয়তানের প্রভাব থেকে দূরে রাখে, হৃদয়কে প্রশান্ত ও আলোকিত করে, অন্তরে জ্ঞানের নূর উদ্ভাসিত করে এবং মানসিক দুঃখ-অবসাদ দূর করে। একই সঙ্গে এটি জীবিকার প্রসার, কল্যাণ ও বরকতের দরজা খুলে দেয়। সংক্ষেপে, ইস্তিগফার মানুষের জীবনে নানা ধরনের মানসিক ও বস্তুগত অশুভ দূর করে এবং তার স্থলে আনে আধ্যাত্মিক ও পার্থিব বরকত।

জাগতিক জীবনে আধ্যাত্মিকতার প্রভাব স্বীকার করা মানে বস্তুগত উপকরণের গুরুত্ব অস্বীকার করা নয়; বরং এর অর্থ হলো—জীবনের গঠনে বস্তুগত উপাদানের পাশাপাশি ইস্তিগফারের মতো আধ্যাত্মিক উপাদানও কার্যকর ভূমিকা রাখে। এ প্রসঙ্গে হযরত সালেহ (আ.) তাঁর জাতিকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, যাতে তোমরা তাঁর রহমত লাভ করতে পারো।” (সূরা আন-নামল, আয়াত ৪৬)

হযরত হূদ (আ.)-ও ইস্তিগফারের অন্যতম প্রভাবে দুনিয়াতে কল্যাণ, প্রাচুর্য ও “মাতা‘আন হাসানা”—অর্থাৎ শান্তি, স্বস্তি ও সৌন্দর্যে ভরা জীবন লাভের কথা উল্লেখ করেছেন।

বরকতময় সময়ে ইস্তিগফার করা আরও ফলপ্রসূ হয়। কারণ মানুষের কর্মের সাথে তার জীবনের ঘটনাবলীর গভীর সম্পর্ক রয়েছে। মহান আল্লাহর বিধান অনুযায়ী, মানুষের প্রতিটি কাজের একটি উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি জগতের মাঝে প্রতিফলিত হয় এবং সেই অনুযায়ী ফল ও পরিণতি ফিরে আসে।

এই বাস্তবতার ভিত্তিতে বলা যায়—মানুষের কিছু চিন্তা, আচরণ ও কাজ তার জীবনে আধ্যাত্মিক ও বস্তুগত বরকতের প্রবাহ সৃষ্টি করে; অন্যদিকে কিছু কথা ও কার্যকলাপ বিপরীতভাবে দুঃখ-দুর্দশা ও বিপদকে ডেকে আনে।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha