হাওজা নিউজ এজেন্সি: ফাতিমাতুজ্জাহরা (সা.আ.) মহিলা হাওজায়ে ইলমিয়ার নৈতিক পাঠের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, হাদিসে কিসা পরিবার ও পারিবারিক সম্পর্কের নৈতিক শিক্ষা ও লালন-পালনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর প্রতিটি শব্দ ফেরেশতাদের দ্বারা লিপিবদ্ধ হয়, এমনকি মানুষের মন থেকে উদ্ভূত চিন্তাও এতে অন্তর্ভুক্ত। এটি ভালো-মন্দ, আচরণ ও মনোভাবের প্রতিফলনও রেকর্ড করে।
তিনি আরও বলেন, হাদিসে কিসা পাঠ করলে শুধু আহলে বাইত (আ.)-ই নয়, তাদের অনুসারী এবং যারা নিয়মিত এটি তিলাওয়াত করে তারাও উপকৃত হন। বহু আলেম অসুস্থদের আরোগ্য, বিপদমুক্তি এবং অশুভ শক্তি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এই হাদিস পাঠের সুপারিশ করেছেন।
অধ্যাপিকা বেহরামি হাদিসের কার্যকর প্রভাবও তুলে ধরেন—রোগ নিরাময়, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা বৃদ্ধি, অশুভ শক্তি থেকে সুরক্ষা এবং ইমামদের (আ.) কাছে তাওয়াস্সুলের মাধ্যমে প্রার্থনা কবুল হওয়ার সুযোগ।
পরিবারে নৈতিকতার দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, বাড়িতে প্রবেশের আগে অনুমতি নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ আদব, যেমন হযরত ফাতিমা (সা.আ.)-এর ঘরে তাঁর পিতার প্রবেশের সময় অনুমতি নেওয়া হত। এটি পরিবারের সদস্যদের ব্যক্তিগত সীমা রক্ষার শিক্ষা দেয়।
অধ্যাপিকা বেহরামি আরও বলেন, পিতার মর্যাদা ও অবস্থান অগ্রাহ্য করলে সন্তানের অসভ্যতা, পারিবারিক শৃঙ্খলার অবনতি এবং জীবনযাত্রার অবনতি ঘটতে পারে। পিতাকে সম্মান করার তিনটি প্রধান কারণ—আল্লাহর সন্তুষ্টি, সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যৎ এবং পরিবারকে দৃঢ় ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করা।
তিনি পরিবারের মধ্যে মা-বাবার সমন্বয়, শিশুকে উষ্ণভাবে স্বাগত জানানোর গুরুত্ব এবং সন্তানকে নৈতিক শিক্ষা প্রদানের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন।
আপনার কমেন্ট