تیتر سه زیرسرویس
-
সন্তান লালনে অলৌকিক বাক্য: “আমি তোমাকে ভালোবাসি” — একটি ছোট বাক্য, এক মহান প্রভাব
কখনও কখনও একটি সাধারণ বাক্যই পারে একটি শিশুর মনোজগতে আশ্চর্য পরিবর্তন আনতে। একটি স্নেহময় বাক্য তাকে আত্মবিশ্বাসী, সাহসী এবং সুখী করে তোলে; আবার একটি রূঢ় বা উপেক্ষাপূর্ণ কথা তার বিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে দিতে পারে।
-
মিলেমিশে থাকার মাঝে পরিবারে সহমর্মিতা ও ঐক্যের রহস্য
একজন দম্পতির জন্য অপরের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন এবং একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানো পরিবারকে শক্তিশালী করার মূল চাবিকাঠি। পরিবারে ঘনিষ্ঠতা ও ঐক্য বজায় রাখতে দৈনন্দিন জীবনে পরিকল্পনা করা এবং একসাথে কার্যক্রমে অংশ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
কীভাবে সন্তানকে “না” শুনতে শেখাব?
একটি শিশুর জীবন শুরু হয় কান্নার মাধ্যমে। পৃথিবীতে আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই সে কান্না করে—এটি কেবল তার প্রথম নিঃশ্বাস নয়, বরং জীবনের প্রথম ভাষা। নবজাতক তখনো শব্দ দিয়ে নিজেকে প্রকাশ করতে পারে না, তাই কান্নাই হয় তার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম।
-
গৃহকর্ম: দায়িত্ব, ভালোবাসা ও মর্যাদায় পরিপূর্ণ এক শিল্প
গৃহকর্ম শুধুমাত্র দৈনন্দিন দায়িত্ব নয়—এটি এমন এক শিল্প ও সাধনা, যা ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের নৈতিক ও মানসিক বিকাশের ভিত্তি রচনা করে। সমাজে এই ভূমিকা প্রায়ই অবমূল্যায়িত হয়; অথচ প্রকৃতপক্ষে গৃহকর্মই হলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চরিত্রগঠন, পারিবারিক স্থিতি ও সামাজিক অগ্রগতির মূলভিত্তি।
-
পারিবারিক জ্ঞান
আমার দুই বছরের সন্তান মোবাইল আসক্ত — কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করব?
আধুনিক যুগে স্মার্টফোন যেন পরিবারের প্রতিটি সদস্যের হাতের মুঠোয়। কিন্তু এই সহজলভ্য প্রযুক্তি যখন দুই বছরের শিশুর কাছেও খেলনার মতো আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে, তখন বিপদ দেখা দেয়। শিশুর আচরণ ও মানসিক বিকাশে মোবাইলের অতিরিক্ত প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেক অভিভাবকই এখন প্রশ্ন করছেন— “কীভাবে ছোট্ট সন্তানকে মোবাইল আসক্তি থেকে রক্ষা করা যায়?” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমস্যার মূল পরিবারেই, আর সমাধানও শুরু হয় পিতা-মাতার কাছ থেকে।
-
শিশুর শেখার আগ্রহ জাগিয়ে তোলার কার্যকর উপায়: ধৈর্য, ভালোবাসা ও পরোক্ষ শিক্ষা
শিশুর শেখার প্রতি আগ্রহ কমে গেলে বা সে পড়াশোনার সঠিক পথ থেকে সরে গেলে, তাকে তিরস্কার বা জোরজবরদস্তির মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা কখনোই স্থায়ী ফল দেয় না। বরং এর জন্য প্রয়োজন ধৈর্য, সহানুভূতি ও পরোক্ষ শিক্ষাদান, যা শিশুর অন্তর্নিহিত প্রেরণাকে জাগিয়ে তোলে।
-
সুখের সূত্র
আনন্দময় ও ফলপ্রসূ জীবনের পথনির্দেশ
সমাজে গভীর ও স্থায়ী সুখ অর্জনের অন্যতম উপায় হলো আলেম ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের জীবন থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করা। তাদের ধৈর্য, অধ্যবসায় ও ঈমান শুধু তাদের ব্যক্তিজীবন নয়, বরং গোটা মানবসমাজকেই আলোকিত করেছে।
-
নারী ও পুরুষ মধ্যে এত পার্থক্য সত্ত্বেও কি তারা একসঙ্গে সুখী জীবন গড়তে পারে?
নারী ও পুরুষের স্বভাব ও ব্যক্তিত্বে পার্থক্য স্বাভাবিক ও অবশ্যম্ভাবী। তবে এসব পার্থক্য কোনোভাবেই জীবনের মূল্য কিংবা দাম্পত্য সফলতার মাপকাঠি নয়। বরং পারস্পরিক বোঝাপড়া, গ্রহণযোগ্যতা, এবং আত্মউন্নয়ন—এই তিন উপাদানই একটি সুস্থ ও আনন্দময় সম্পর্কের ভিত্তি গড়ে তোলে।
-
পারিবারিক শিক্ষা
কীভাবে পুরুষদের পিতৃত্বের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করা যায়?
আধুনিক সমাজে অনেক পিতা নিজের ভূমিকা সম্পর্কে অজ্ঞ — এর পেছনে শিক্ষাব্যবস্থার কাঠামোগত ত্রুটি ও সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ই প্রধান কারণ বলে মনে করেন ইসলামি গবেষক হুজ্জতুল ইসলাম মোহাম্মদরেজা জিবায়ি নেজাদ। তিনি মনে করেন, পরিবারে পুরুষের দায়িত্ব পুনঃস্থাপন ও পিতৃত্বের মর্যাদা পুনরুদ্ধারই সমাজ স্থিতিশীলতার পূর্বশর্ত।
-
কীভাবে একজন সফল মা ও আদর্শ শিক্ষিকা হওয়া যায়?
একজন মা কেবল সন্তান জন্ম দেন না—তিনি এক মানবপ্রজন্ম গড়ে তোলেন। সন্তানের প্রথম বিদ্যালয় হলো তার মায়ের কোলে; তাই একজন নারী যদি একজন সফল মা ও প্রকৃত শিক্ষক হতে চান, তবে তাঁকে একইসঙ্গে সচেতন, শিক্ষিত, ধৈর্যশীলা ও আত্মনিয়ন্ত্রিত হতে হবে।