বুধবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ - ০৫:৩০
ইমাম খোমেনির (রহ.) অজুর সরলতা ও মহিমা

ইমাম খোমেনির (রহ.) এক মেয়ের জামাইয়ের বর্ণনায় তাঁর জীবনের একটি ছোট কিন্তু অত্যন্ত অর্থবহ মুহূর্ত ফুটে ওঠে। ঘটনা খুব সাধারণ—অজুর পানি। কিন্তু এ সামান্য ঘটনাই ইমামের চরিত্রে থাকা গভীর সরলতা, পরিমিতি ও আধ্যাত্মিকতার পরিচয় দেয়।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: ড. বুরুজার্দি (ইমাম খোমেনির জামাতা) বলেন, একদিন দেখলাম, আমার ছেলের হাতে একটি খুব ছোট কাঁচের শিশি, যার ভেতরে সামান্য পানি রয়েছে।

আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, “এটা কী পানি?”

সে বলল, “আমার স্কুলের কয়েকজন বন্ধু নানার অজুর পানি তাবারুক হিসেবে চেয়েছিল। তাই ইমাম যখন অজু করছিলেন, আমি একটি পাত্র হাতে ধরে দাঁড়াই। কিন্তু তিনি এত অল্প পানি ব্যবহার করলেন যে পাত্রটিতে প্রায় কিছুই জমল না। শেষ পর্যন্ত আমাকে সিরিঞ্জ দিয়ে সামান্য পানিটুকু তুলে এই শিশিতে ভরতে হয়েছে— তবুও শিশিটি ভরেনি।”

ঘটনাটি শুনে আমি ইমামকে বললাম, “আঁকা (জনাব), আপনার অজুর পানি কি সত্যিই এত কম?”

ইমাম খোমেনি হালকা হাসলেন এবং বললেন— “হ্যাঁ, এটাই আমার ফরজ অজুর অবশিষ্ট পানি।”

ইসলামী বিধান অনুযায়ী অজুতে একবার পানি ঢালা ফরজ, দ্বিতীয়বার ঢালা সুন্নত বা মুস্তাহাব। ইমাম খোমেনি কখনো প্রয়োজনের বাইরে পানি ব্যয় করতেন না; তিনি শুধু ফরজ পরিমাণেই অজু সম্পন্ন করতেন।

সূত্র: মাসিক পাসদার-ই ইসলাম, সংখ্যা ২২২, জুন ১৯৯৯

Tags

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha