মঙ্গলবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ - ১৭:১৭
আহলে সুন্নাতের সূত্রে নবীগণের গুণাবলির প্রতিফলন হযরত আলী (আ.)-এর মধ্যে

ইসলামের ইতিহাসে হযরত আলী ইবনে আবি তালিব (আ.) এমন এক অনন্য ব্যক্তিত্ব, যাঁর ফজিলত ও মর্যাদা শুধু শিয়া সূত্রেই নয়, বরং আহলে সুন্নাতের নির্ভরযোগ্য গ্রন্থসমূহেও সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। বিশেষত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর বাণীতে তাঁর মধ্যে পূর্ববর্তী মহান নবীগণের জ্ঞান, প্রজ্ঞা, ধৈর্য ও চরিত্রের সাদৃশ্য ফুটে উঠেছে। নিম্নে আহলে সুন্নাতের প্রখ্যাত আলেমদের বর্ণনার আলোকে সেই মর্যাদার সংক্ষিপ্ত আলোচনা উপস্থাপন করা হলো।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, যে কেউ যদি আদম (আ.)-কে তাঁর জ্ঞানে দেখতে চায়, নূহ (আ.)-কে তাঁর প্রজ্ঞায় দেখতে চায় এবং ইবরাহিম (আ.)-কে তাঁর ধৈর্য ও সহনশীলতায় দেখতে চায়—তবে সে যেন আলী ইবনে আবি তালিবের দিকে তাকায়।

আহলে সুন্নাতের বিশিষ্ট আলেম ইবনে শাহিন তাঁর প্রসিদ্ধ গ্রন্থ শরহে মাযাহিবে আহলে সুন্নাত-এর ১৫১ নম্বর পৃষ্ঠায় আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণনা করেন যে, একদিন সাহাবিগণ রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর পাশে উপবিষ্ট ছিলেন। এমন সময় আমিরুল মুমিনিন আলী ইবনে আবি তালিব (আ.) সেখানে প্রবেশ করলে রাসূলুল্লাহ (সা.) গভীর ভালোবাসা ও স্নেহভরে তাঁর দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকেন এবং উপরোক্ত বাণী উচ্চারণ করেন।

এরপর ইবনে শাহিন মন্তব্য করেন যে, এই মর্যাদা ও ফজিলতে হযরত আলী (আ.) একক; এই বিশেষ গুণে তাঁর সঙ্গে আর কেউ শরিক নন।

এছাড়াও আহলে সুন্নাতের প্রথম সারির মুহাদ্দিস ও আলেম আবু নু‘আইম ইসফাহানী (মৃত্যু: ৪৩০ হিজরি) তাঁর গ্রন্থ ফাজায়েলুল খোলাফা আল-আরবা‘আ-তে উল্লেখ করেন যে, আমিরুল মুমিনিন আলী (আ.)-এর এমন কিছু বিশেষ ফজিলত রয়েছে, যাতে অন্য কেউ তাঁর সঙ্গে অংশীদার নয়।

এই গ্রন্থে আবু রাশিদ আওয়াইল হামরান থেকে বর্ণিত আছে যে, একদিন সাহাবিগণ রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর পাশে উপস্থিত ছিলেন। এমন সময় আমিরুল মুমিনিন আলী (আ.) সেখানে প্রবেশ করলে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন: যে কেউ আনন্দিত হতে চায়, যে কেউ আদমের জ্ঞান, নূহের প্রজ্ঞা এবং ইবরাহিমের উত্তম চরিত্র দেখতে চায়—সে যেন আলী ইবনে আবি তালিবের দিকে তাকায়।

রিপোর্ট: হাসান রেজা

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha