হাওজা নিউজ এজেন্সি: পোশাক-আশাক, ব্যবহার্য সামগ্রী এমনকি দেয়ালে টাঙানো ছবির মতো সাধারণ নির্বাচনগুলোও একজন শিক্ষকের প্রকৃত ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করে, আর শিক্ষার্থীরা তা নিখুঁতভাবে পর্যবেক্ষণ ও উপলব্ধি করে।
কোনো শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে অত্যন্ত সুন্দর ও অর্থবহ কথা বলতে পারেন, নিপুণ পারদর্শিতায় শিক্ষাদান করতেও পারেন; কিন্তু এসবের আগেই শিক্ষার্থীদের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে তার আচরণ ও কর্ম।
এ কারণে একজন শিক্ষকের উচিত নিজের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা এবং সচেতন থাকা যে— তার হাঁটার ভঙ্গি, হাসি, পোশাক-পরিচ্ছদ, সাজসজ্জার ধরন, অবসর যাপনের রীতি এবং এমনকি দৃষ্টিভঙ্গি ও তাকানোর ভঙ্গিও শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে।
যখন কোনো শিক্ষক সহজ-সরল, বিলাসবর্জিত জীবনযাপন এবং অনাড়ম্বর, ঈমানদার সামাজিক সম্পর্কের কথা বলেন, তখন কৌতূহলী শিক্ষার্থী স্বাভাবিকভাবেই জানতে চায়— শিক্ষকের নিজের জীবনধারা কেমন।
শিক্ষকের ঘরের কার্পেট, আসবাবপত্র, ব্যবহার্য সামগ্রী এবং এমনকি দেয়ালে ঝোলানো ছবিগুলোও তার প্রকৃত ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক। কারণ মানুষের ব্যক্তিত্বকে তার পছন্দ, রুচি ও নির্বাচন থেকেই অনেকাংশে অনুধাবন করা যায়।
অতএব বলা যায়, একজন শিক্ষক শুধু নির্দিষ্ট পাঠ্যবই পড়ানো বা ভাষণের মাধ্যমে নয়, বরং নিজের জীবনাচরণ ও আচরণের মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি শিক্ষা দিয়ে থাকেন। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের কথার চেয়ে তার কাজ ও জীবনযাপনকে বেশি গুরুত্ব দেয়। তাই শিক্ষকের দায়িত্ব হলো—নিজেকে এমনভাবে গড়ে তোলা, যাতে তার প্রতিটি আচরণ শিক্ষার্থীদের জন্য একটি জীবন্ত শিক্ষা হয়ে ওঠে।
আপনার কমেন্ট