হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, গুতরেসের প্রতিবেদনটি এমন এক ম্যান্ডেটের ওপর ভিত্তি করে তৈরি, যার বাস্তবে কোনো অস্তিত্ব নেই।
সোমবার সকালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ২২৩১—যার উল্লেখ প্রতিবেদনে করা হয়েছে, ইরানের দৃষ্টিতে ইতোমধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ।
তিনি বলেন, “এই অবস্থান শুধু ইরানের নয়; নিরাপত্তা পরিষদের দুই স্থায়ী সদস্যও একই মত পোষণ করে।”
তিনি আরও বলেন, যৌথ সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা (জেসিপিওএ)-এর বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে তিনটি ইউরোপীয় দেশের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের চাপে নেওয়া হয়েছে এবং এর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।
বাকায়ি বলেন, “যে পদক্ষেপ শুরু থেকেই বৈধতা-বিহীন, তার কোনো কার্যকর প্রভাব থাকতে পারে না।” তিনি জানান, ইরান এ বিষয়ে জাতিসংঘ সচিবালয়ের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আপত্তি জানিয়েছে। একই সঙ্গে চীন ও রাশিয়াও তাদের অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ইউরোপীয় দেশগুলোর রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাকায়ি বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ভেতরে একটি গুরুতর আইনগত বিভাজন সৃষ্টি করেছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, এই পথে অটল থাকলে বিভাজন আরও গভীর হবে।
তিনি বলেন, “আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, তিনটি ইউরোপীয় দেশের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আচরণ এবং নিরাপত্তা পরিষদের প্রক্রিয়া অপব্যবহারের ফলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্তরে একটি আইনগত শূন্যতা তৈরি হয়েছে। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।”
এদিকে মঙ্গলবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ইরান পরমাণু চুক্তি—যা যৌথ সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা (জেসিপিওএ) নামে পরিচিত—বাস্তবায়ন পরিস্থিতি পর্যালোচনায় একটি বৈঠক করে। বৈঠকে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব বাস্তবায়ন বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা হয়।
ওই বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি সাঈদ ইরাভানি বলেন, প্রস্তাব ২২৩১-এর মেয়াদ ২০২৫ সালের ১৮ অক্টোবর শেষ হয়ে গেছে। তিনি বৈঠকের বিরোধিতা করা এবং জেসিপিওএ চুক্তির প্রতি অঙ্গীকার বজায় রাখার জন্য রাশিয়া ও চীনকে ধন্যবাদ জানান।
আপনার কমেন্ট