বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫ - ০৮:৩৬
বিবাহ ও পরিবার বিষয়ে ধর্মীয় এক্সপার্ট গড়ে তোলার অপরিহার্যতা

পরিবার কাঠামো শত্রুদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হওয়ার এই ক্রান্তিকালে, ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর উপর একটি গুরুদায়িত্ব বর্তিয়েছে। তাদেরকে অবশ্যই বিবাহ ও পরিবার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও ধর্মীয় প্রচারক গড়ে তুলতে হবে এবং ব্যবহারিক গবেষণা পরিচালনা করে ইসলামী জীবনধারার স্থানীয় মডেল ডিজাইনের মাধ্যমে পরিবারের ভিত্তি শক্তিশালী করতে সহায়তা করতে হবে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: শিয়া মাজহাবের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবার কেবল একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান নয়, বরং এটি মানুষের প্রশিক্ষণের কেন্দ্র এবং ব্যক্তি ও সমাজের সৌভাগ্যের সূচনাবিন্দু। বিবাহও একটি ঐশী বন্ধন যা মানুষের বিকাশ ও পরিপূর্ণতার পথ সুগম করে। তবে জীবনযাত্রার পরিবর্তন, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের প্রতি ঝোঁক, বিবাহ সম্পর্কে ভুল ধারণা, সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভোগবাদিতা এবং যোগাযোগ দক্ষতার অভাব তরুণ ও পরিবারগুলোর জন্য গুরুতর চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।

এমন পরিস্থিতিতে ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা প্রচারে একটি প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবাহ ও পরিবার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ প্রচারক গড়ে তুলে তরুণদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারে। শ্রোতাদের গভীরভাবে বুঝতে পারা, বিশেষ করে তরুণদের জৈবিক চাহিদা এবং এর জন্য ধর্মীয় ও নৈতিক সমাধান প্রদান করা একজন প্রচারকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।

ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই বিবাহ ও পরিবার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ প্রচারক প্রশিক্ষণের বিশেষায়িত কেন্দ্র সম্প্রসারণ করতে হবে। এসব কেন্দ্রে শুধু ধর্মীয় বিধি-বিধান ও নৈতিকতা শিক্ষাই নয়, বরং বিবাহ ও পরিবারের জ্ঞানতাত্ত্বিক ও দার্শনিক ভিত্তির উপর বিশেষ জোর দিতে হবে। একই সাথে, ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাজেটের একটি অংশ বিবাহ ও পরিবার বিষয়ে ব্যবহারিক গবেষণার জন্য বরাদ্দ করা অপরিহার্য। কারণ পরিবারের ভিত্তি শক্তিশালীকরণ শুধু বিবাহবিচ্ছেদের হার কমানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি পারস্পরিক স্নেহ-ভালোবাসা, সামাজিক মূলধন এবং পরিবারের মধ্যে নৈতিক ও মানবিক প্রতিভার বিকাশকেও অন্তর্ভুক্ত করে।

ব্যবহারিক গবেষণা ইসলামী জীবনধারার স্থানীয় মডেল ডিজাইন করতে পারে এবং এই মডেলগুলো বিশেষজ্ঞ প্রচারকদের মাধ্যমে সমাজে পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও, ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মুসলিম সমাজে পরিবারের অবস্থা সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ও বিশ্লেষণাত্মক প্রতিবেদন তৈরি করে সিদ্ধান্তগ্রহণকারীদের কাছে তাদের গবেষণালব্ধ ফলাফল পৌঁছে দিতে পারে, যাতে সিদ্ধান্তগুলো বৈজ্ঞানিক তথ্যের ভিত্তিতে নেওয়া হয়।

পরিশেষে, ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে গবেষণা ও শিক্ষার উপর ভিত্তি করে তরুণ প্রজন্ম ও পরিবারগুলোর চাহিদা পূরণের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha