হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী: হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মাসুম আলী গাজী সাহেব ওযুর উপকার সম্পর্কে বলেন: মানুষ যদি সব সময় ওযু অবস্থায় থেকে তার কি কি উপকার হতে পারে আমরা হাদিস ও রেওয়ায়েত দ্বারা জানতে পারি।
১- রুযিতে বরকত.......
ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) বলেন : যদি কোন ব্যক্তি তার বাড়িতে বরকত ও মঙ্গল অব্যাহত রাখতে চাই তাহলে খাদ্য গ্রহণের পূর্বে ওযূ করা উচিত।
২- পুণ্য বৃদ্ধি করণ.....
ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) বলেন : যদি কোন ব্যক্তি ওযূ করে এবং কোন কিছু দিয়ে ওযুর পানি মুছে ফেলে তবে তার জন্য একটি উত্তম আমল লেখা হয়। আর কোনও ব্যক্তি যদি ওযূ করে এবং ওযূর পানি শুকানোর জন্য অপেক্ষা করে তবে তার জন্য ত্রিশটি পুণ্য লেখা হয়।
৩- ওযূ কারীর বয়সে বৃদ্ধি... ।
নবী করীম (সাঃ) বলেন : সর্বদা ওযূর অবস্থায় থাকার প্রচেষ্টা কর যাতে মহান আল্লাহ পাক তোমার জীবন দীর্ঘায়িত করেন।
৪- ওযূর করে ঘুমানো হল এবাদত।
মহানবী (সাঃ) বলেন : যে ব্যক্তি ওযূ করে ঘুমায়, তার বিছানা তার জন্য মসজিদে পরিণত হয় এবং তার ঘুমের প্রতিদান হল সে সকাল পর্যন্ত নামায পড়ছে। আর কোনও ব্যক্তি যদি ওযূ বিহীন ঘুমায় তবে তার বিছানা কবরের মতো হয়ে যায় এবং সে সকাল অবধি মৃতের মতো থাকে।
৫- ওযূর অবস্থায় মৃত্যু বরণ করা শাহাদাতের ন্যায়।
রসূল আল্লাহ (সাঃ) বলেন : যদি সর্বদা ওযু করার ক্ষমতা রাখ তবে তা কর, কারণ তুমি যদি ওযূর অবস্থায় মৃত্যু বরণ কর তবে তা শাহাদতের ন্যায়।
৬- কিয়ামতের দিন জ্যোতির্ময় থাকবে।
বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন : কেয়ামতের দিন মহান আল্লাহ তাআলা আমার উম্মাহকে অন্যান্য উম্মাহর মাঝে এমনভাবে জাগ্রত করবেন যে (যারা এই দুনিয়াতে ওযূর অবস্থায় থাকতো) তাদের চেহারা উজ্জ্বল এবং তাদের কপাল আলোকিত থাকবে।
মুস্তাদরেকুল ওয়াসায়েল খন্ড ১ পৃষ্ঠা ৩৫৬..
বিহারুল আনওয়ার খন্ড ৮ পৃষ্ঠা ৩১৪..
বিহারুল আনওয়ার খন্ড ৮ পৃষ্ঠা ৩১৪..
ওয়াসায়েলুশ শিয়া খন্ড ১ পৃষ্ঠা ২৯৭..
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ওয়া আ'লে মুহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম।
(মাসুম আলী গাজী)
আপনার কমেন্ট