হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রথমবারের মতো ইরান আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় মেয়েদের গ্রুপে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের কোনো নারী হাফেজ। পূর্ণ কোরআন হেফজ গ্রুপে অংশ নিয়ে সাফল্য অর্জনকারী ওই নারী হাফেজের নাম মুতাহহারা বিনতে আবদুল হাফিজ।
ইরানের মাশহাদে অবস্থিত ইমাম আলী রেজা মসজিদের সভাকক্ষে আয়োজিত কোরআন প্রতিযোগিতা তিন ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হয়।
নারী-পুরুষের আলাদা আলাদা আয়োজনে হেফজুল কোরআন, কেরাত ও তারতিল গ্রুপে মোট ৮০ দেশের প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেন। ইরান কোরআন প্রতিযোগিতার ৪১তম আসরে প্রতি গ্রুপে উত্তীর্ণ সেরা তিন জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন হাফেজ মুতাহহারা লাবিবা বিনতে আবদুল হাফিজ। কারি আবু জর গিফারী, হাফেজ মুহসিন আহমদ মাহদি, হাফেজ কলিম সিদ্দিকী ও কারি মুসাররাত তাবাসসুম।
২৭ জানুয়ারিতে শুরু হওয়া প্রতিযোগিতা ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে। প্রতিযোগিতায় নারী হাফেজদের গ্রুপে প্রথম স্থান অর্জন করেন ইরানের প্রতিযোগী ও তৃতীয় স্থান লাভ করেন ইয়েমেনের প্রতিনিধি।
হাফেজ মুতাহহারা লাবিবা বিনতে আবদুল হাফিজ হাফেজ কারি ইসমাইল হাসান পরিচালিত সাউদা বিনতে জামআহ (রা.) ইন্টারন্যাশনাল বালিকা হেফজ মাদরাসার সাবেক ছাত্রী। মাদরাসাটি রাজধানীর দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী, ডেমরা রোডে বিবির বাগিচা এক নম্বর গেটের বিপরীতে অবস্থিত।
মুতাহহারা তার চাচা ও ফুফুদের কাছ থেকে কোরআন হেফজ শেষে চাচা হাফেজ কারি ইসমাইল হাসানের কাছে উচ্চতর তাজভিদ ও বিভিন্ন মাকামাত শিক্ষা করে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন ইরানের প্রতিযোগী ও তৃতীয় স্থান লাভ করেন ইয়েমেনের প্রতিনিধি।
এর আগে মুতাহহারা লাবিবা ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত কুয়েত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। এই মাদরাসার অপর শিক্ষার্থী মাইমুনা বিনতে মনিরুজ্জামান ২০২৩ সালে ইরানের প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করে এবং নুসাইবা হক ফাইজা ২০২৩ সালে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় সপ্তম স্থান অর্জন করে বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে আনেন।
আপনার কমেন্ট