হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আয়াতুল্লাহ সুবহানি বলেন: ধর্মীয় শিক্ষাঙ্গনের অন্যতম চিরস্থায়ী গৌরব হলো শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষকের স্বাধীন নির্বাচন, এবং এই বিষয়টি আগের মতোই দৃঢ়ভাবে বজায় রাখা উচিত। সকল শিক্ষকের প্রতি যথাযথ মনোযোগ দেওয়া উচিত, যাতে তারা দক্ষ ছাত্র তৈরি করতে পারেন।
ধর্মীয় শিক্ষাঙ্গন সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আয়াতুল্লাহ সুবহানি উচ্চতর ধর্মীয় পরিষদের সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তিনি আয়াতুল্লাহ শাবজিন্দাদারকে শুভেচ্ছা জানান এবং শাবান মাসের আনন্দঘন উৎসবের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, আমি আপনার কাছ থেকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শুনেছি। প্রথমত, শিক্ষকের স্বাধীন ও নিয়োগকৃত নির্বাচন প্রসঙ্গে। বিভিন্ন সময় আমি ধর্মীয় শিক্ষাঙ্গনের পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠকে এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে উত্থাপন করেছি যে শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষক বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা শিক্ষাঙ্গনের গৌরবের অংশ, যা আগামীতেও বজায় রাখতে হবে। সকল শিক্ষকের প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত, যাতে তারা নিজেদের শিক্ষার্থীদের যথাযথভাবে গড়ে তুলতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নবউদ্ভূত ও প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা। এটি খুবই ভালো উদ্যোগ, তবে আমাদের ধাপে ধাপে এগোতে হবে। প্রথমে উচ্চতর পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে এই বিষয়ের আলোচনা শুরু করা উচিত এবং চিন্তাভাবনার বৈচিত্র্যের সুযোগ সৃষ্টি করা উচিত, যাতে বিষয়টি আরও সুসংগঠিত হয় এবং পরবর্তীতে তা পাঠ্যপুস্তকে সংযোজন করা সম্ভব হয়। একক ব্যক্তির রচনা হয়তো এই ক্ষেত্রে যথেষ্ট নাও হতে পারে। যদি সম্ভব হয়, তবে ধর্মীয় শিক্ষাঙ্গনের বাইরের বিশেষজ্ঞদের মতামতও নেওয়া যেতে পারে, যারা এই বিষয়ে অভিজ্ঞ।
এই শীর্ষস্থানীয় ধর্মীয় নেতা তৃতীয় বিষয় হিসেবে কিছু পুনরাবৃত্ত বিষয় বাদ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন এবং বলেন, যদি কিছু বিষয় বাদ দিতে হয়, তবে এটি আরেকটি কাঠামোগত পরিবর্তনের দাবি রাখে।
আয়াতুল্লাহ সুবহানি তাঁর বক্তব্যের আরেক অংশে ধর্মীয় শিক্ষাঙ্গনের উন্নতি ও শক্তিশালী করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা দেন। তিনি উল্লেখ করেন যে উচ্চতর ধর্মীয় পরিষদ এমন একজন ব্যক্তিকে নির্বাচিত করেছে, যিনি সমস্যাগুলো বোঝেন এবং তার সমাধানও জানেন। তিনি সুপারিশ করেন, “সংস্কারের কাজ ধীরস্থিরভাবে ও ধাপে ধাপে শুরু করুন, যাতে এটি দীর্ঘস্থায়ী ও কার্যকর হয়।
আপনার কমেন্ট