হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আয়াতুল্লাহ জাওয়াদি আমুলি ইসলামী বিপ্লবের বার্ষিকী উদযাপনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেছেন যে, ২২ বাহমানের র্যালিতে অংশগ্রহণ এবং জাতীয় ঐক্য ও সংহতি রক্ষা করা ইমাম ও শহীদদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের প্রতীক।
তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, সবাই ১৪০৩ সালের ২২ বাহমানের আয়োজনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেবেন। তিনি আরও বলেন, এই উপস্থিতি কেবল শহীদদের প্রতি সম্মান নয়, বরং বিপ্লবের পথে অবিচল থাকা নেতৃত্ব ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং বিপথগামীদের জন্য উপদেশস্বরূপ।
তিনি ইসলামের একটি মূলনীতি উল্লেখ করে বলেন, হিজরতের পর আবার অজ্ঞতার দিকে ফিরে যাওয়া গুরুতর পাপ, যা মুসলমানদের জন্য সতর্কবার্তা। তিনি সবাইকে ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি অবিচল থাকার আহ্বান জানান।
আয়াতুল্লাহ জাওয়াদি আমুলি সতর্ক করেছেন যে, ইসলামী শাসনব্যবস্থার পরিত্যাগ এবং পূর্বের অজ্ঞতাপূর্ণ সমাজব্যবস্থায় ফিরে যাওয়া ইসলামি নিষিদ্ধ। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, ইসলামী বিপ্লবের পথ পরিবর্তন করা এবং পূর্বের শাসনব্যবস্থার (যেমন, পাশ্চাত্য-অনুকরণী পহলভী শাসন) দিকে ঝুঁকে পড়া "হিজরতের পর অজ্ঞতায় ফিরে যাওয়া" (التعرّب بعد الهجرة) বলে বিবেচিত হয়, যা হারাম এবং বিপজ্জনক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতি শুধুমাত্র বস্তুগত পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করে না, বরং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ওপরও নির্ভরশীল। ইসলামী সমাজে প্রশাসন এবং বিচারব্যবস্থা যদি ন্যায়ের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়, তবে এর বরকত চল্লিশ দিনের টানা বৃষ্টির চেয়েও বেশি ফলপ্রসূ হবে। তিনি জনগণকে দোয়া, ইবাদত এবং আল্লাহর প্রতি বিনম্র হয়ে কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করার আহ্বান জানান।
শেষে, তিনি সকলকে আহ্বান জানান যে, ১৪০৩ সালের ২২ বাহমান উদযাপনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে ইসলামী বিপ্লবের প্রতি নিজেদের আনুগত্য ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে। একইসঙ্গে, ন্যায়ের শাসন এবং ইসলামী মূল্যবোধ সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি নবায়ন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আপনার কমেন্ট