হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইরানের সুপ্রিম কাউন্সিল অফ কালচারাল রেভোলিউশনের সদস্য আয়াতুল্লাহ আলী আকবর রাশাদ আজ রবিবার (৯ ফেব্রুয়ার ধর্মীয় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের এক সমাবেশে ইসলামিক বিপ্লবের বিজয়ের ৪৬তম বার্ষিকী এবং ফজরের (ইসলামি বিপ্লব বিজয়) দশক, শাবান মাসের পবিত্র দিনগুলো এবং রাসুলুল্লাহ (সা.)’র মেরাজ দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক বক্তব্য সম্পর্কে মন্তব্য করেন।
তিনি বলন, আমেরিকার পাগলাটে প্রেসিডেন্টের অমূলক প্রস্তাব ‘গাজা থেকে দুই মিলিয়ন লোককে বিভিন্ন দেশে স্থানান্তর করা হবে’ এর বিপরীতে তাকে আমরা একটি যুক্তিসঙ্গত প্রস্তাব দিতে পারি যে, যারা এসে ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করেছে তাদের স্থানান্তর করা উচিত।
তিনি বলেন, “ট্রাম্পকে আমাদের প্রস্তাব- অবৈধ ইসরায়েল রাষ্ট্রকে আমেরিকার পরিত্যক্ত অঞ্চলে স্থানান্তর করা। তিনি বলেন, সবচেয়ে ভালো পদক্ষেপ হবে ইসরায়েলিদের আমেরিকায় স্থানান্তর করা, বিশেষ করে আমেরিকার পরিত্যক্ত অঞ্চলগুলি সবুজ এবং প্রচুর পানি রয়েছে এবং কৃষি ও বসবাসের জন্য ভালো পরিবেশ রয়েছে এবং যদি তারা স্থানান্তরিত হয় তাহলে পুরো অঞ্চলটি নিরাপদ হয়ে যাবে।
আয়াতুল্লাহ রাশাদ বলেন, যদি ধরেও নিই যে গাজার মানুষকে স্থানান্তর করা সম্ভব এবং যুক্তিসঙ্গত, কিন্তু ইসরায়েল নামক ক্যান্সারের টিউমার ফিলিস্তিনি ভূমিতে রয়েছে। তাই সমস্যা গাজার জনগণ নয়, বরং সমস্যা হল দখলদার এবং অপরাধী চক্র যাদের ইসরায়েলি শাসন ও সরকার ও অবৈধ রাষ্ট্র।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, সমস্যা হলো যদি ট্রাম্পের বুদ্ধি থাকত এবং সে ন্যায্য কথা বলতে চাইত যা বিশ্ব গ্রহণ করত, তাহলে এই হাস্যকর কথার বদলে তাকে বলতে হতো আমরা সাহায্য করব বিশেষ করে পশ্চিমা এবং ইংরেজরা যারা এই অপরাধী ইহুদী গোষ্ঠীকে এই অঞ্চলে এনেছে, আমরা তাদের অন্য জায়গায় স্থানান্তর করব বিশেষ করে উত্তর আমেরিকা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
সুপ্রিম কাউন্সিল অফ কালচারাল রেভোলিউশনের সদস্য বলেন, ট্রাম্পের কথা না যুক্তিসঙ্গত, না বৈধ, না সম্ভবকর এবং না গাজা এবং ফিলিস্তিনের বীর জনগণ এমন জুলুম মেনে নেবে। সত্য হলো তারা ফিলিস্তিনের ছোট অংশটুকু দখল করতে চায় এবং স্থানান্তর এবং অভিবাসনের নামে তারা মানুষকে তাদের ভূমি থেকে বের করে দিতে চায় এবং বাকি জমি দখল করতে চায়।
তিনি যোগ করেন, তারা যুদ্ধ করে মানুষকে তাদের ভূমি থেকে দূরে সরাতে পারেনি এবং তারা চক্রান্ত ও প্রতারণার মাধ্যমে তাদের মন্দ ইচ্ছা পূরণ করতে চায়, এমন ঘটনা ঘটবে না এবং ট্রাম্পের এই কথা আমেরিকার বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ, জাতি এবং বুদ্ধিজীবীরা ট্রাম্পের এই হাস্যকর এবং অমূলক কথাকে উপহাস এবং নিন্দা করেছে।
আপনার কমেন্ট