হাওজা নিউজ এজেন্সি: পবিত্র রমজান মাসের অষ্টম দিনে হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন নাসের রাফিয়ি হযরত ফাতিমা মাসুমা (সা.আ.)’র মাজারে তাফসির মাহফিলে সূরা তাওবার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, সূরা তাওবার ১৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহ মুসলমানদের কিছু উপদেশ দিয়েছেন, যার মধ্যে প্রথম উপদেশ ও প্রথম পরীক্ষা হলো সামরিক জিহাদে অংশগ্রহণ।
তিনি বলেন, এই আয়াতে মুসলমানদের বলা হয়েছে যে তোমাদের জিহাদে যেতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। তোমরা এই দুটি বিষয়ের মাধ্যমে পরীক্ষিত হবে।
রাফিয়ি যোগ করেন, এই আয়াতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আল্লাহর সৃষ্টির উপর আল্লাহর পরীক্ষা। এই পরীক্ষা থেকে কোনো মানুষই ব্যতিক্রম নয়। সব মানুষই আল্লাহর পরীক্ষার সম্মুখীন হবে।
হযরত ফাতিমা মাসুমা (সা.আ.)’র মাজারের বক্তা উল্লেখ করেন, সূরা তাওবার ১৬ নম্বর আয়াতের মতো কুরআন মাজিদে আরও কিছু আয়াত রয়েছে, যেগুলোর বিষয়বস্তুও এই আয়াতের মতোই। সেগুলোও আল্লাহর পরীক্ষার বিষয়টি উল্লেখ করে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, পরীক্ষাকারী, পরীক্ষার্থী, পরীক্ষার বিষয়বস্তু, পরীক্ষার উদ্দেশ্য এবং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পথ—এই পাঁচটি উপাদান একটি পরীক্ষার মূল অংশ। এই পাঁচটি উপাদান বিবেচনা না করে চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সম্ভব নয়।
রাফিয়ি স্মরণ করিয়ে দেন, আল্লাহ হলেন পরীক্ষাকারী এবং সমগ্র মানবজাতি হলো পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার উপকরণ ও বিষয়বস্তু হলো দারিদ্র্যতা, রোগ, সম্পদ এবং অন্যান্য বিষয়। আল্লাহর পরীক্ষার উদ্দেশ্য হলো পবিত্র ও ভালো মানুষদের দুষ্ট ও মন্দ মানুষদের থেকে আলাদা করা। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার একমাত্র উপায় হলো আল্লাহর জিকিরে অবিচল থাকা, আল্লাহর উপর ভরসা করা, আল্লাহর রহমত কামনা করা এবং আল্লাহর পরীক্ষার বিষয়ে অভিযোগ না করা।
তিনি যোগ করেন, কারবালার পরীক্ষার মাধ্যমে হুসাইনী এবং ইয়াজিদী আলাদা হয়ে গেছে। পবিত্র ব্যক্তিরা পাপাচারীদের থেকে আলাদা হয়ে গেছে। এই পরীক্ষাগুলো সেইসব মানুষের মর্যাদা বৃদ্ধি করে, যারা এই পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে।
আপনার কমেন্ট