হাওজা নিউজ এজেন্সি: তিনি বলেন, ১৩৪৪ হিজরিতে (১০২ বছর আগে) ১৫ ওয়াহাবি মুফতির ফতোয়ার ভিত্তিতে বাকীর পবিত্র সমাধিগুলো ধ্বংস করা হয়, তবে তারা নবীর (সা.) কবর ধ্বংসের সাহস করেনি।
রাফিয়ি ওয়াহাবি আদর্শকে ইসলামবিরোধী ও কুরআনের বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক বলে অভিহিত করেন। তিনি উল্লেখ করেন, ওয়াহাবি মতবাদ আজকের যুগে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে, এমনকি অনেক সুন্নি আলেমও এটিকে ভ্রান্ত বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। সৌদি যুবসমাজ ও সরকার এখন ধর্মনিরপেক্ষতার দিকে ঝুঁকছে।
তিনি তাওয়াসসুল (মাধ্যমতা) ও তাবাররুক (বরকত অনুসন্ধান)-এর কুরআনিক ভিত্তি ব্যাখ্যা করেন। সূরা মায়িদার ৩৫ নং আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য ‘ওয়াসিলা’ (মাধ্যম) ব্যবহার জরুরি। এজন্য আল্লাহর নাম, কুরআন, নামাজ, রোজা এবং আহলে বাইতকে মাধ্যম হিসেবে গণ্য করা যায়। নাহজুল বালাগায় ইমাম আলী (আ.)-এর বক্তব্য উল্লেখ করে তিনি জিহাদ ও ঈমানকে মাধ্যমরূপে ব্যাখ্যা করেন।
রাফিয়ি বলেন, ওয়াহাবিরা বাকী কবরস্থানে সুন্নিদের কবর জিয়ারতেও বাধা দেয়, যা ইসলামী ঐক্যের পরিপন্থী। আয়াতুল্লাহ সোবহানীর রচনায় ওয়াহাবি নিষেধাজ্ঞাগুলোর খণ্ডন উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, তাদের কর্ম ইসলামের চিত্র বিকৃত করেছে, যা আজও দায়েশের মাধ্যমে প্রতিফলিত।
তিনি বক্তব্যের শেষে বলেন, জান্নাতুল বাকী ধ্বংসের ঘটনা বিশ্ব মুসলিমের বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ছিল, তবে ওয়াহাবিরা তাদের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।
আপনার কমেন্ট