হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, গত রাতে ফাতিমা মাসুমা (সা.)-এর পবিত্র মাজারে এক জ্ঞানচর্চার আসরে তিনি বলেন: কেউ কেউ প্রশ্ন তোলে—কেন ইসলামি প্রজাতন্ত্র অন্যান্য দেশের মতো আমেরিকা বা ইউরোপের সঙ্গে সমঝোতা করে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে উন্নতি আনে না?
তিনি বলেন, এই সন্দেহ বা প্রশ্নের উত্তর জিহাদে তাবিয়িন (প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা)র মাধ্যমে কুরআনের আলোকে দেওয়া উচিত। কুরআন স্পষ্ট করে বলেছে, ইসলামী উম্মাহর ঔদ্ধত্যপূর্ণ শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে।
মানদেগারি যোগ করেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ও বিপ্লবের ভিত্তি সম্পূর্ণরূপে কুরআনভিত্তিক, যদিও কিছু দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি এর বিরোধী আচরণ করে, তবে মূল কাঠামো ধর্মীয় শিক্ষার উপর প্রতিষ্ঠিত।
তিনি আরও বলেন, কুরআনের প্রথম শিক্ষা হলো—শত্রুদের বিশ্বাস করা উচিত নয়, যেমনটি সূরা হুজুরাতের ৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন: পূর্ববর্তী আলোচনায় আমেরিকা তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি, এবং এবারও তাদের প্রতিশ্রুতি বিশ্বাসযোগ্য নয়, কারণ আমেরিকা সবসময় প্রতারণা করেছে।
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু ফারসি ভাষায় বার্তা পাঠিয়ে বলেছে ইরানি জনগণ প্রিয়, কিন্তু তাদের লক্ষ্য কিছু সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমরা যদি এই শত্রুদের বিশ্বাস না করি, তার ভিত্তিও কুরআনে রয়েছে।
তিনি উদাহরণ দেন: সৌদি আরব যতই আমেরিকাকে খুশি করুক না কেন, শেষ পর্যন্ত “দুধ-দেয়া গাভীর” খেতাবই পেয়েছে, এবং যখনই তার প্রয়োজন শেষ হবে, তাকে ফেলে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, সূরা আলে ইমরান ১৭৫ আয়াতে দ্বিতীয় দায়িত্ব পরিষ্কার করে বলা হয়েছে—শত্রুদের থেকে ভয় পাওয়া যাবে না।
মানদেগারি বলেন, প্রায় দুই মাস ধরে ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলছে—সরাসরি আলোচনা বা যুদ্ধ। কিন্তু ইসলামি বিপ্লবের নেতা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আলোচনা হবে পরোক্ষভাবে, কীভাবে, কোথায় ও কী বিষয়ে আলোচনা হবে তা আমরা ঠিক করব, এবং তা কেবল পারমাণবিক ইস্যুতে। আজ ওমানে ইসলামী প্রজাতন্ত্রের দৃঢ় অবস্থান থেকেই সফল আলোচনা হয়েছে, কারণ আমরা ভয় পাইনি।
শেষে তিনি বলেন, আমাদের তৃতীয় কর্তব্য—শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ও প্রতিরোধ, যাতে তাদের ষড়যন্ত্র থেমে যায়। এই প্রতিরোধের কথা কুরআনের বহু আয়াতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে শত্রুর মুখোমুখি হতে হবে ও ঔদ্ধত্যের সামনে দাঁড়াতে হবে।
আপনার কমেন্ট