শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ - ১৬:৫৪
হলদিয়ায় ওয়াকফ বিল এবং ফিলিস্তিনি  নির্যাতিতাদের পক্ষে প্রতিবাদ সমাবেশ

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী নৃশংসতার প্রতিবাদে ব্রজলালচক হাইরোড বাজারে এক জোরালো প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী নৃশংসতার প্রতিবাদে ব্রজলালচক হাইরোড বাজারে এক জোরালো প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর স্থানীয় কুমাপুর আসহাবিল কিসা মসজিদের ইমাম মাওলানা হুজ্জাতুল ইসলাম মুনির আব্বাস নাজাফি ও রুহুল আমিন ভাইজানের নেতৃত্বে এ আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন শতাধিক স্থানীয় নাগরিক, ধর্মীয় নেতা, এবং সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা।  

সমাবেশের বক্তব্য: নিপীড়নের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ঐক্য

মাওলানা মুনির আব্বাস নাজাফি তার বক্তব্যে ফিলিস্তিনে চলমান সহিংসতাকে "ইসলামী মূল্যবোধ ও মানবতার প্রতি চরম অবমাননা" আখ্যা দেন। তিনি বলেন, "গাজায় শিশু-নারী-বৃদ্ধ নির্বিশেষে হত্যা, হাসপাতাল ও স্কুলে বোমাবর্ষণ—এসব কোনো ধর্ম বা নৈতিকতায় গ্রহণযোগ্য নয়। মুসলিম বিশ্বের নেতাদের অবশ্যই এই নৃশংসতা বন্ধে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে" । 

স্লোগান ও প্রতীকী প্রতিবাদ:

মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা "ফিলিস্তিনের রক্তের দাম নেবো, ইসরায়েলি সন্ত্রাস বন্ধ করো", "মুসলিম উম্মাহ এক হও, ফিলিস্তিন মুক্ত করো" সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। প্রতীকীভাবে ফিলিস্তিনি পতাকা ও কালো ব্যানার বহন করা হয়, এবং ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের আহ্বান জানানো হয় ।  

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি দাবি:
 
বক্তারা জাতিসংঘ, ওআইসি এবং মুসলিম প্রধান রাষ্ট্রগুলোর প্রতি জরুরি হস্তক্ষেপের দাবি তোলেন। মাওলানা নাজাফি বিশেষভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ইসরায়েলি অর্থায়ন ও অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার আহ্বান জানান ।  

স্থানীয় সম্প্রীতি ও ভবিষ্যৎ কর্মসূচি:
 
আয়োজকরা জানান, এই সমাবেশ শুধু ফিলিস্তিনের সমর্থনেই নয়, স্থানীয় পর্যায়ে ধর্মীয় ও সামাজিক ঐক্যেরও প্রতীক। 

প্রেক্ষাপট:

গত কয়েক মাসে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার অর্ধেকই নারী ও শিশু । 

রিপোর্ট: মুক্তার হোসেন ও লাল্টু

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha