মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ - ১৬:৩২
আল্লাহ কেন বুদ্ধিকে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় সৃষ্টি হিসেবে গণ্য করেছেন?

ইসলামে বুদ্ধির গুরুত্ব সম্পর্কে অসংখ্য হাদিস ও রেওয়ায়েত রয়েছে, তবে হযরত আদম (আ.)-এর সাথে সম্পর্কিত একটি সুন্দর ও শিক্ষণীয় ঘটনা রয়েছে, যা বুদ্ধি, লজ্জা ও দীনের পারস্পরিক সম্পর্ককে তুলে ধরে।

হাওজা নিউজ এজেন্সির রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামে বুদ্ধির গুরুত্ব সম্পর্কে বহু হাদিস ও রেওয়ায়েত বিদ্যমান, তবে হযরত আদম (আ.)-এর সাথে সম্পর্কিত একটি সুন্দর ও শিক্ষামূলক ঘটনা রয়েছে, যা বুদ্ধি, লজ্জা ও ধর্মের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধনকে ফুটিয়ে তোলে।

আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী (আ.) বর্ণনা করেন যে, হযরত জিবরাইল (আ.) হযরত আদম (আ.)-এর কাছে এসে বললেন: "হে আদম! আমাকে আদেশ দেওয়া হয়েছে তোমাকে তিনটি জিনিসের মধ্যে একটি বেছে নিতে বলতে, এবং বাকি দুটি বাদ দিতে হবে।"

হযরত আদম (আ.) জিজ্ঞাসা করলেন: "সেগুলো কী কী?"

জিবরাইল (আ.) উত্তর দিলেন: "বুদ্ধি, লজ্জা ও দীন।"

হযরত আদম (আ.) বললেন: "আমি বুদ্ধিকে বেছে নিলাম।"

তখন জিবরাইল (আ.) লজ্জা ও দীনকে বললেন যে তোমরা দুজন ফিরে যাও, কিন্তু তারা উত্তর দিলেন: "আমাদের আদেশ দেওয়া হয়েছে যে যেখানে বুদ্ধি থাকবে, সেখানেই আমরা থাকব।"

জিবরাইল (আ.) বললেন: "হ্যাঁ, তোমাদের স্থান বুদ্ধির সাথেই।"

এই ঘটনাটি স্পষ্ট করে যে, যেখানে বুদ্ধি থাকবে, সেখানে দীন ও লজ্জাও থাকবে। এই বুদ্ধিই মানুষকে পরিপূর্ণতার দিকে নিয়ে যায়।

অন্য একটি রেওয়ায়েতে ইমাম মুহাম্মদ বাকির (আ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে:

"যখন আল্লাহ তাআলা বুদ্ধিকে সৃষ্টি করলেন, তখন তাকে কথা বলার আদেশ দিলেন। তারপর তিনি বললেন: 'এগিয়ে যাও'—সে এগিয়ে গেল। 'পিছিয়ে আসো'—সে পিছিয়ে এল।

তারপর আল্লাহ বললেন: 'আমার ইজ্জত ও জালালের শপথ! আমি তোমার চেয়ে প্রিয় কোনো সৃষ্টি তৈরি করিনি। আমি শুধু তার মধ্যেই পূর্ণতা দেব যাকে আমি ভালোবাসি। আমি তোমাকে আদেশ দেব, তোমাকে নিষেধ করব, তোমার মাধ্যমেই পুরস্কার ও শাস্তি দেব।'"

এই হাদিসগুলো বুদ্ধির মর্যাদা ও এর ভূমিকাকে উজ্জ্বল করে, যা প্রমাণ করে যে দীন ও লজ্জার ভিত্তিও বুদ্ধির উপর প্রতিষ্ঠিত। আর এটিই মানুষের মুক্তি ও পরিপূর্ণতার মাধ্যম।

Tags

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha