হাওজা নিউজ এজেন্সির রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামে বুদ্ধির গুরুত্ব সম্পর্কে বহু হাদিস ও রেওয়ায়েত বিদ্যমান, তবে হযরত আদম (আ.)-এর সাথে সম্পর্কিত একটি সুন্দর ও শিক্ষামূলক ঘটনা রয়েছে, যা বুদ্ধি, লজ্জা ও ধর্মের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধনকে ফুটিয়ে তোলে।
আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী (আ.) বর্ণনা করেন যে, হযরত জিবরাইল (আ.) হযরত আদম (আ.)-এর কাছে এসে বললেন: "হে আদম! আমাকে আদেশ দেওয়া হয়েছে তোমাকে তিনটি জিনিসের মধ্যে একটি বেছে নিতে বলতে, এবং বাকি দুটি বাদ দিতে হবে।"
হযরত আদম (আ.) জিজ্ঞাসা করলেন: "সেগুলো কী কী?"
জিবরাইল (আ.) উত্তর দিলেন: "বুদ্ধি, লজ্জা ও দীন।"
হযরত আদম (আ.) বললেন: "আমি বুদ্ধিকে বেছে নিলাম।"
তখন জিবরাইল (আ.) লজ্জা ও দীনকে বললেন যে তোমরা দুজন ফিরে যাও, কিন্তু তারা উত্তর দিলেন: "আমাদের আদেশ দেওয়া হয়েছে যে যেখানে বুদ্ধি থাকবে, সেখানেই আমরা থাকব।"
জিবরাইল (আ.) বললেন: "হ্যাঁ, তোমাদের স্থান বুদ্ধির সাথেই।"
এই ঘটনাটি স্পষ্ট করে যে, যেখানে বুদ্ধি থাকবে, সেখানে দীন ও লজ্জাও থাকবে। এই বুদ্ধিই মানুষকে পরিপূর্ণতার দিকে নিয়ে যায়।
অন্য একটি রেওয়ায়েতে ইমাম মুহাম্মদ বাকির (আ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে:
"যখন আল্লাহ তাআলা বুদ্ধিকে সৃষ্টি করলেন, তখন তাকে কথা বলার আদেশ দিলেন। তারপর তিনি বললেন: 'এগিয়ে যাও'—সে এগিয়ে গেল। 'পিছিয়ে আসো'—সে পিছিয়ে এল।
তারপর আল্লাহ বললেন: 'আমার ইজ্জত ও জালালের শপথ! আমি তোমার চেয়ে প্রিয় কোনো সৃষ্টি তৈরি করিনি। আমি শুধু তার মধ্যেই পূর্ণতা দেব যাকে আমি ভালোবাসি। আমি তোমাকে আদেশ দেব, তোমাকে নিষেধ করব, তোমার মাধ্যমেই পুরস্কার ও শাস্তি দেব।'"
এই হাদিসগুলো বুদ্ধির মর্যাদা ও এর ভূমিকাকে উজ্জ্বল করে, যা প্রমাণ করে যে দীন ও লজ্জার ভিত্তিও বুদ্ধির উপর প্রতিষ্ঠিত। আর এটিই মানুষের মুক্তি ও পরিপূর্ণতার মাধ্যম।
আপনার কমেন্ট