শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ - ১৮:৩২
কীভাবে সন্তানদের নামাজের প্রতি আগ্রহী করে তুলব?

সন্তানদের নামাজের প্রতি আগ্রহী করতে গিয়ে অনেক সময় বাবা-মা বা অভিভাবকগণ নামাজের পদ্ধতি নিয়ে অতি কঠোর হয়ে পড়েন, বিশেষ করে ছোটবেলায়। এ ধরনের কঠোরতা প্রায়ই উল্টো ফল বয়ে আনে এবং শিশুদের নামাজ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। ইমাম জয়নুল আবেদীন (আ.) তাঁর সন্তানদের নামাজের ব্যাপারে সহজ সুন্দর পদ্ধতি অবলম্বন করতেন, যা তাদেরকে নামাজের প্রতি আগ্রহী করে তুলতো। কারণ, নিয়মিত নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়েই ধীরে ধীরে নামাজের গুণগত মান উন্নত হয়।

হাওজা নিউজ এজেন্সি’র এক প্রতিবেদনে ইসলামিক স্কলার হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন আবুল ফজল সাজেদীর বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, তিনি বিভিন্ন সেমিনারে নতুন প্রজন্মকে নামাজের প্রতি উৎসাহিত করার কার্যকর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। 

সন্তানদের নামাজের প্রতি আগ্রহী করার কার্যকর কৌশল:

১. ছোটবেলায় সহজ পদ্ধতি: শিশু বয়সে নামাজের পদ্ধতি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে বরং সহজভাবে নামাজ শেখানো উচিত। 

২. সমালোচনা পরিহার: অনেক সময় বাবা-মা বা বড় ভাই-বোন শিশুটির নামাজ পড়ার সময় নানাভাবে সমালোচনা করেন, যেমন—“তুমি নামাজ এত তাড়াতাড়ি শেষ করলে কেন?” বা “রুকুতে ঠিকভাবে দাঁড়ালে না কেন?” এ ধরনের সমালোচনা শিশুর মনে নামাজের প্রতি বিরূপ ধারণা সৃষ্টি করে। 

৩. ইমাম জয়নুল আবেদীন (আ.)-এর পদ্ধতি: তিনি তাঁর সন্তানদেরকে মাগরিব ও ইশা একসাথে এবং জোহর ও আসর একসাথে পড়ার পরামর্শ দিতেন। যখন তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি উত্তরে বলতেন, “এভাবে পড়া ভালো, যাতে তারা ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে না পড়ে এবং নামাজ ছেড়ে না দেয়।” 

৪. ধৈর্য্য ধারণ: প্রথম দিকে যদি শিশুর নামাজের মান ভালো না-ও হয়, ধৈর্য্য ধারণ করা উচিত। নিয়মিত নামাজ আদায়ের মাধ্যমে ইনশাআল্লাহ তা ধীরে ধীরে উন্নত হবে। 

পরামর্শ:

- নামাজকে আনন্দদায়ক ও রুটিনের অংশ হিসেবে গড়ে তুলুন 

- নিজে ভালো উদাহরণ হোন 

- ছোট ছোট পুরস্কার বা প্রশংসার মাধ্যমে উৎসাহ দিন 

নামাজ আল্লাহর সাথে বান্দার বিশেষ সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যম। তাই সন্তানদেরকে এই মহান ইবাদতের সাথে সঠিকভাবে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে ধৈর্য্য ও বুদ্ধিমত্তার সাথে।

Tags

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha