হাওজা নিউজ এজেন্সি: নারী হাওজার শিক্ষিকা মাসুমা তুরকান আহলে বাইতের এই মহীয়সী নারীর জন্মবার্ষিকীতে বলেন, “এতদিন ধর্মীয় আদর্শ হিসেবে মূলত মহান পুরুষ সাহাবী ও ইমামদেরই পরিচয় করানো হতো। কিন্তু এই পবিত্র বংশে হযরত মাসুমা (সা.আ.)-এর মতো মহীয়সী নারীরাও রয়েছেন, যারা নারী-পুরুষ সকলের জন্য আদর্শ।”
তিনি উল্লেখ করেন, হযরত ফাতিমা (সা.আ.)’র পবিত্রতার কারণে তাঁর নামকরণ করা হয় “মাসুমা”। ইমাম রেজা (আ.) তাঁকে “মাসুমা” উপাধি দেন যা তাঁর উচ্চ মর্যাদার ইঙ্গিতবাহী।
হরমুজগান নারী হাওজার এই কর্মকর্তা আরও বলেন, “তাঁর (সা.আ.) জ্ঞান নারী ও কন্যাদের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ। পবিত্রতা, লজ্জাশীলতা, আধ্যাত্মিক জ্ঞান ও আনুগত্য তাঁর অন্যান্য গুণ। ইমামদের বাণীতে তাঁকে 'আলেমা গায়রে মুয়াল্লামা' (স্বশিক্ষিত জ্ঞানী) বলা হয়েছে, যা তাঁকে হযরত যায়নাব (সা.)-এর উত্তরসূরি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।”
বন্দর আব্বাসের জাহরা (সা.) বিশেষায়িত হাওজার শিক্ষিকা তুরকান যোগ করেন, “ইমাম রেজা (আ.)-এর সাক্ষাতের জন্য তুসের পথে তাঁর যাত্রা নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্যের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আল্লাহ ও নেতৃত্বের প্রতি তাঁর গভীর উপলব্ধিই ছিল সর্বশ্রেষ্ঠ গুণ।”
এই ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ ব্যাখ্যা করেন,
“হযরত মাসুমা (সা.) থেকে বর্ণিত হাদিসসমূহ ও আলেমদের সেগুলো সংকলনের আগ্রহ প্রমাণ করে এই যুবতী বিদুষীর মর্যাদা কত উচ্চে।”
তিনি জিয়ারতনামার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন,“‘ইয়া ফাতিমা, ইশফায়ি লানা ফিল জান্নাহ' - এই বাক্যের দুটি অর্থ:
১. “হে ফাতিমা! আমাদের জান্নাতে প্রবেশের সুপারিশ করুন
২. হে ফাতিমা! জান্নাতের মধ্যেই আমাদের উচ্চ মর্যাদার জন্য সুপারিশ করুন!”
জনাবা তুরকান উপসংহারে বলেন, “তাঁর মহান ব্যক্তিত্ব পবিত্রতা, জ্ঞান ও ঈমানের আদর্শ। তাঁর পবিত্র মাজার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু, যা আহলে বাইতের ভালোবাসার হৃদয়গুলোকে ম্যাগনেটের মতো টানে, যাতে আমরা এই মহীয়সী নারীর কাছ থেকে ঈমান ও পবিত্রতার পাঠ নিতে পারি।”
আপনার কমেন্ট