হাওজা নিউজ এজেন্সি টিআরটি গ্লোবালের জানিয়েছে, ‘অ্যান্টি-ডিসক্রিমিনেশন কোয়ালিশন ইন আমেরিকা’-এর সহায়তায় এই মামলা করা হয়।
মামলায় টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট, অঙ্গরাজ্যের গভর্নর এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর দাঙ্গা দমন সরঞ্জাম ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে অভিযোগ।
মামলায় বলা হয়, পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদেরকে অপরাধীর মতো আচরণ করেছে। গ্রেফতার হওয়ার পরও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে, যদিও আদালত তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি।
দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরভিন হিলারেইন বলেন, “আমাদের মতো ছাত্রদের সঙ্গে যেন অপরাধীর মতো ব্যবহার করা হয়েছে। আমি ইন্টার্নশিপের ক্লাস ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছি এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি।”
তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সিসকো মন্তব্য করেন, “এই মামলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি মার্কিন সরকারের দ্বিমুখী নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান স্পষ্ট করে।”
উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থীকে বিক্ষোভ থেকে গ্রেফতার করা হলেও অভিযোগের অভাবে দু’দিন পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে এরপরও অনেকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা জারি রয়েছে।
এই মামলাটি যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মতপ্রকাশের অধিকার এবং ছাত্র অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে নতুন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
সূত্র: TRT Global
আপনার কমেন্ট