হাওজা নিউজ এজেন্সি: সংগঠনটি জানায়, গাজার পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক এবং খাদ্য ও পানির তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ইসরায়েলের উচিত অবরোধ বন্ধ করা, কারণ গাজার মানুষ ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় মারা যাচ্ছে। বর্তমানে ১০ লক্ষাধিক শিশু গুরুতর অসুস্থ, আহত ও অনাহারে ভুগছে।
১৮ মার্চ, একটি সংক্ষিপ্ত যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলি বাহিনী বর্বরভাবে গাজায় হামলা পুনরায় শুরু করে।
চিকিৎসকরা “বোমা নয়, রুটি" হাতে ‘হার্ট বিল্ডিং’-এর সামনে প্রতিবাদ করেন এবং শ্লোগান দেন—
“বোমা নয়, রুটি!”, “শিশুদের খেতে দিন!”
বোস্টনের স্নায়ুবিশেষজ্ঞ ডা. কারামেহ কুমার বলেন, “গাজায় অপুষ্টি, অনাহার এবং ধারাবাহিক হামলার কারণে স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনীয়তা বহুগুণে বেড়ে গেছে।”
গাজা থেকে সদ্য ফেরা চিকিৎসক ডা. ব্রেনান বোলম্যান বলেন,
“টানা আট সপ্তাহ কোনো খাদ্য বা সাহায্য গাজায় পৌঁছায়নি। অবস্থা ভয়াবহ। আমি নিজ চোখে দেখেছি, গাজার নার্সরা নিজেদের স্বজন হারিয়ে শোকে মুহ্যমান থেকেও পরদিন আবার হাসপাতাল সেবায় ফিরে গেছেন।”
তিনি তাৎক্ষণিক ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি জানান।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি গত সপ্তাহে জানিয়েছে, গাজায় সকল খাদ্য মজুত ফুরিয়ে গেছে, মানুষ এমনকি রুটিও পাচ্ছে না।
প্রায় ২৪ লক্ষ গাজাবাসী যুদ্ধের কারণে সর্বস্ব হারিয়ে এখন পুরোপুরি মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। তবে ইসরায়েলের অবরোধের কারণে ২ মার্চ থেকে সেই সহায়তাও বন্ধ।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৫২,৩০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গত নভেম্বর মাসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী গালান্ট-এর বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
সূত্র: আনাদোলু নিউজ এজেন্সি
আপনার কমেন্ট