হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আকরাম গুদারজিয়ান ফারদ, মহিলা হাওজাগুলোর গবেষণা ব্যবস্থায় রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন: গবেষণা ব্যবস্থায় মৌলিক ও গভীর পরিবর্তনসমূহ সমাজের সমসাময়িক সমস্যাগুলোর উত্তর দেওয়া এবং আধুনিক যুগের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জ্ঞান উৎপাদনের পথ প্রশস্ত করে।
হামেদানে হাওজা নিউজ-এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে, মালায়েরের হযরত যাইনাব (সা.) মহিলা হাওযার শিক্ষিকা আকরাম গুদারজিয়ান ফারদ, কোম হাওজার পুনঃপ্রতিষ্ঠার শতবর্ষ উপলক্ষে বলেন: এই সময়টি গবেষণা ও একাডেমিক কাঠামোগুলো পুনর্বিবেচনা ও শক্তিশালী করার জন্য এক অনন্য সুযোগ।
তিনি হাওজার গবেষণামূলক সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে বলেন: আধুনিক গবেষণা পদ্ধতি ও নতুন প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো অত্যাবশ্যক, যাতে গবেষণাগুলো ফলপ্রসূ ও ব্যবহারযোগ্য হয়। যদিও ঐতিহ্যগত পদ্ধতির নিজস্ব মূল্য আছে, তবুও বিজ্ঞানের ও সমাজের পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন পদ্ধতিও ব্যবহার করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, গবেষকরা হাওজায় যথেষ্ট পরিশ্রম করলেও তাদের আরও বেশি সহায়তা প্রয়োজন—যেমন: আর্থিক ও মানসিক সমর্থন, প্রণোদনা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম—যাতে তাদের গবেষণার আগ্রহ ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
সমসাময়িক সামাজিক প্রশ্ন ও বিভ্রান্তির উত্তর দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন: হাওজার গবেষণা এমনভাবে হওয়া উচিত যা সমাজের বাস্তব চাহিদা ও নতুন প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারে। হাওজাগুলিকে সময়োপযোগী হয়ে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে জ্ঞান ও গবেষণার মাধ্যমে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।
শেষে গুদারজিয়ান ফারদ বলেন: হাওজাভিত্তিক গবেষণাকে সমাজ ও বিশ্বের ইসলামি জগতে প্রভাব বিস্তারকারী করতে হলে, তা অবশ্যই সমাজের চলমান পরিবর্তন, সমস্যা ও প্রশ্নের প্রতি মনোযোগী হতে হবে। এভাবে গবেষণার কার্যকারিতা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।
আপনার কমেন্ট