হাওজা নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আয়াতুল্লাহ আরাফি কোম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের শতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সম্মেলন সম্পর্কে প্রশ্নের জবাব দেন এবং রাহবারের রূপরেখা বাস্তবায়নে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করেন।
সাক্ষাৎকারের বিস্তারিত:
প্রথম প্রশ্ন: রাহবারের রূপরেখা "অগ্রণী ও শীর্ষস্থানীয় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান" সম্পর্কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো কী?
আয়াতুল্লাহ আরাফি:
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। প্রথমে ইমাম রেজা (আ.)-এর জন্মবার্ষিকীতে সকল দর্শক, ইরানের সম্মানিত জনগণ এবং মিডিয়া কর্মীদের প্রতি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। মিডিয়া নেটওয়ার্ক এই সম্মেলনের ব্যাপক প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
একটি উল্লেখযোগ্য সম্মেলন:
এই সম্মেলন ছিল কোম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি অনন্য ঘটনা, যা অতীতের ১২ বছর, সর্বশেষ শতাব্দী এবং বিপ্লব-পরবর্তী দশকগুলোর দিকে দৃষ্টিপাত করেছে।
পরিবর্তনমূলক রূপরেখা:
এই সম্মেলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল রাহবারের নতুন রূপরেখা উপস্থাপন, যা ধর্মীয় শিক্ষা ও ইসলামী জ্ঞানচর্চায় একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।
প্রধান দিকসমূহ:
১. জনগণের সাথে সংযুক্তি: ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান জনসমর্থন ছাড়া অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে না।
২. বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সহযোগিতা: সমকালীন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যৌথ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
৩. আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি: বিশ্বব্যাপী চিন্তাধারার সাথে সংলাপ প্রতিষ্ঠা করা।
৪. নারীদের ভূমিকা: ধর্মীয় শিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো।
৫. যুবসমাজের চাহিদা: নতুন প্রজন্মের প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত থাকা।
আধুনিক ফিকহের উন্নয়ন:
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান অর্থনীতি, চিকিৎসাবিদ্যা, পরিবেশসহ নানা ক্ষেত্রে সমসাময়িক ফিকহ উন্নয়নে কাজ করছে। রাহবারের নির্দেশনা অনুযায়ী, আমাদের এই প্রচেষ্টা আরও ত্বরান্বিত করতে হবে।
সামাজিক ভূমিকা:
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সাড়ে হাজার বছর ধরে সমাজসেবায় নিয়োজিত রয়েছে। আমাদেরকে জনগণের সমস্যা সমাধানে আরও সক্রিয় হতে হবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
আমরা রাহবারের রূপরেখাকে একটি সামগ্রিক কর্মপরিকল্পনায় রূপান্তরিত করছি, যা দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত হবে। এই দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের সকল কর্মকাণ্ডে প্রতিফলিত হবে।
আপনার কমেন্ট