বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫ - ১৯:০৯
স্তর একে অনলাইনে শিক্ষা দেওয়া নিষিদ্ধ

আয়াতুল্লাহ আরাফি তাঁর বক্তব্যের আরেক অংশে বলেন: আমাদের সিদ্ধান্ত হলো, প্রতিটি বৈঠক ও সভার শেষ যেন একটি কার্যকর সিদ্ধান্ত এবং বাস্তব প্রয়োগে গিয়ে পৌঁছায়।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি উল্লেখ করেন, হাওজার বৈজ্ঞানিক মর্যাদা সংরক্ষণ করা উচিত। তিনি বলেন: করোনাকালে ভার্চুয়াল শিক্ষার ক্ষেত্রে ভাল ভিত্তি তৈরি হয়েছে, তবে এই প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।

হাওজা ইলমিয়ার প্রধান বলেন, হাওজার মূল শিক্ষা ও প্রকৃত মানস গঠনমূলক প্রশিক্ষণ শুধুমাত্র সরাসরি উপস্থিতির মাধ্যমেই সম্ভব। অথচ বর্তমানে কিছু ক্ষেত্রে অনলাইন শিক্ষা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশিদূর অগ্রসর হয়ে গেছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন: স্তর একে কোনোভাবেই অনলাইনে শিক্ষা দেওয়া যাবে না। যদি বিশেষ কোনো ব্যতিক্রম ঘটে এবং সত্যিই অনলাইনের প্রয়োজন হয়, তবে অবশ্যই লিখিত অনুমতি নিতে হবে।

আয়াতুল্লাহ আরাফি বলেন, এই বিষয়ে নিয়মিত তদারকি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তা অবশ্যই কার্যত বাস্তবায়ন করতে হবে।

তিনি বলেন: শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো এবং নতুন ব্যবহারিক পরিকল্পনা তৈরি করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা প্রাদেশিক ও কেন্দ্রীয় পরিচালকরা অনুসরণ করবেন।

তিনি আরও বলেন, বিভাগভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা একটি বড় রূপান্তর। প্রদেশগুলোর অন্যতম দায়িত্ব হলো জ্ঞানভিত্তিক ক্ষেত্রগুলোতে আলেম সমাজকে শক্তিশালী করা।

দেশের হাওজা পরিচালক বলেন, এমন সুযোগ-সুবিধা তৈরি করতে হবে যাতে সকল প্রদেশেই “দারসে খারিজ” (উচ্চতর ইসলামী পাঠক্রম)-এর শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায়। এই স্তরের পাঠ উন্নয়ন এবং এর পরিমাণ ও মানের সম্প্রসারণও গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করতে হবে।

তিনি বলেন, যেসব শিক্ষক অন্য প্রদেশে হিজরত করেন (স্থানান্তরিত হন), তাঁদের জন্য বিশেষ সেবাদান পরিকল্পনা তৈরি করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, পাঠ্যবই ও অনুরূপ ক্ষেত্রে প্রদেশগুলোকে নিজ উদ্যোগে কাজ করতে হবে, এবং কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনার জন্য অপেক্ষা না করে এগিয়ে আসতে হবে।

আয়াতুল্লাহ আরাফি বলেন, আমরা এখনও সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশিত পর্যায়ের প্রয়োজনীয় দাওয়াত ও প্রচার কার্যক্রম থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রচার খাতে বরাদ্দ ২০ গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha