হাওজা নিউজ এজেন্সি: পত্রিকাটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ইসরাইলি সামরিক কর্মকর্তারা এখনও জোর দিয়ে বলছেন, “যুদ্ধ শেষ হয়নি।” তবে বাস্তবতা হলো, হিজবুল্লাহর গঠনগত নমনীয়তা ও শক্তিশালী সামাজিক ভিত্তির কারণে তাদের ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব।
ইসরাইলের ব্যর্থতার কারণসমূহ
আল-আখবার এবং পার্সটুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হিজবুল্লাহকে সম্পূর্ণভাবে দুর্বল করতে না পারার পেছনে ইসরাইলের ব্যর্থতার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ তুলে ধরা হয়:
বিকেন্দ্রীভূত ও নমনীয় কাঠামো: হিজবুল্লাহ এমন একটি কৌশলগত গঠন তৈরি করেছে, যা সহজে ভাঙা সম্ভব নয়।
সমাজের সঙ্গে মিশে যাওয়া: সংগঠনটি লেবাননের সমাজের ভেতর গভীরভাবে প্রোথিত, ফলে জনসমর্থনের মাধ্যমে তারা স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে।
দৃঢ় আদর্শিক ভিত্তি: দলটির আদর্শিক প্রস্তুতি তাদের মানসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে আরও দৃঢ় করে তুলেছে।
নেতৃত্বের দক্ষতা: যুদ্ধের সময় কাঠামোগত পুনর্গঠন এবং নায়িম কাসেমের দূরদর্শী নেতৃত্ব হিজবুল্লাহকে পুনরায় সংগঠিত হতে সহায়তা করেছে।
আঞ্চলিক চাপে স্থির অবস্থান
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, আঞ্চলিক ভূরাজনীতিতে পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে হিজবুল্লাহ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সিরিয়ার নতুন সরকার পশ্চিমা শক্তি ও ইসরাইলের প্রতি কিছুটা ঝুঁকে পড়ায়, সেখানে হিজবুল্লাহর সহায়তা লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অন্যদিকে, লেবাননে নতুন সরকার ‘একচেটিয়া অস্ত্রের মালিকানা’ বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করে হিজবুল্লাহর ওপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করছে। আন্তর্জাতিক সাহায্যের বিনিময়ে ইসরাইলি শর্ত মেনে নেওয়ার বাধ্যবাধকতাও তৈরি হয়েছে।
তবুও অবস্থান অটুট
এই বহুমুখী চাপ সত্ত্বেও হিজবুল্লাহ এখনো লেবাননের রাজনীতিতে একটি প্রভাবশালী এবং নীতিনির্ধারক শক্তি হিসেবে টিকে রয়েছে। তাদের সামরিক সক্ষমতা, আদর্শিক ভিত্তি এবং জনসমর্থন ইসরাইলের কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আপনার কমেন্ট