হাওজা নিউজ এজেন্সি: তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “হজ কেবলমাত্র একটি আনুষ্ঠানিক ইবাদত নয়, বরং এটি মুসলিম উম্মাহর জন্য আত্মিক পরিশুদ্ধি, সামাজিক সাম্য ও বিশ্বজনীন ঐক্যের এক মহান শিক্ষা নিয়ে আসে। হজের পবিত্র ময়দানে সকল জাতিগত, ভাষাগত ও সামাজিক পার্থক্য ভুলে গিয়ে লাখো মুসলিম একই কাবাকে সম্বোধন করে 'লাব্বাইক' ধ্বনি দেন। এটি ইসলামের সার্বজনীন ভ্রাতৃত্বের সবচেয়ে বড় নিদর্শন।”
হজের আধ্যাত্মিক তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “যে সৌভাগ্যবান ব্যক্তি হজ সম্পন্ন করেন, তিনি গুনাহ থেকে এমন নিষ্পাপ হয়ে যান যেমন একজন নবজাতক শিশু। আল্লাহ তাআলা খাঁটি নিয়তে হজ পালনকারীর সকল দোয়া কবুল করেন। তাই আমি হাজী ভাই-বোনদের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও ঐক্যের জন্য বিশেষ দোয়া করেন।”
ড. কাদরি বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে হজের শিক্ষার বাস্তব প্রয়োগের ওপর জোর দিয়ে বলেন, “আজকের এই বিভক্ত বিশ্বে হজের প্রকৃত বার্তা বাস্তবায়ন করা আমাদের জন্য অপরিহার্য কর্তব্য। আমাদেরকে সকল প্রকার গোঁড়ামি, সংকীর্ণতা, বিদ্বেষ ও বিভেদের দেয়াল ভেঙে মানবতার সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। হজ আমাদের শেখায় - ধনী-দরিদ্র, শ্বেত-শ্যাম, আরব-অনারবের সকল কৃত্রিম বিভেদ ভুলে আল্লাহর দরবারে সমানভাবে মাথা নত করতে হবে। এই মহান শিক্ষা আমাদের ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের প্রতিটি স্তরে প্রতিফলিত হওয়া আবশ্যক।”
তিনি হাজীদের উদ্দেশ্যে বিশেষ আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনারা এই পবিত্র সফর থেকে ফিরে নিজ নিজ পরিবার, সমাজ ও কর্মক্ষেত্রে ইহসান, ইনসাফ ও ইসলামী ভ্রাতৃত্বের আলো ছড়িয়ে দিন। হজের শিক্ষা যেন কেবলমাত্র কিছু আনুষ্ঠানিকতা ও স্মৃতিচিহ্নের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে, বরং তা যেন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে ওঠে।”
আপনার কমেন্ট