হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চালানো পাল্টা হামলায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো জায়োনিস্ট সরকারের অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা—প্যাট্রিয়ট ও হেতস—অতিক্রম করে সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।
ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের বহুস্তর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে সহজেই প্রবেশ করে এবং অধিকৃত অঞ্চল, বিশেষ করে তেল আবিবে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।
ইরানি ড্রোনগুলোও জায়োনিস্ট অঞ্চলে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে সঠিকভাবে আঘাত হেনেছে। সূত্র জানিয়েছে, ইরান যেসব ‘আত্মঘাতী ড্রোন’ ব্যবহার করেছে—বিশেষত ‘আরাশ’—সেগুলোও নির্ভুলভাবে ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সফল হয়েছে।
হামলার পর জায়োনিস্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী উত্তর ফিলিস্তিনের বিভিন্ন এলাকায় দুটি রিজার্ভ ব্রিগেড মোতায়েন করেছে, যা প্রমাণ করে যে হামলাগুলো সায়োনিস্ট সামরিক কৌশলকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করেছে।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, প্যাট্রিয়ট ও হেতস বিশ্বে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ও উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এইসব ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের সহজে বেরিয়ে যাওয়া ইরানের সামরিক দক্ষতা, প্রযুক্তি এবং প্রতিরক্ষা কৌশলের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ।
আপনার কমেন্ট