সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ - ০০:৩৫
এখন পিছু হটা মানে ইসলামের পরাজয়

ইরানের বিরুদ্ধে ইসলাম ও মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্রু ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েল ও সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তির চলমান মানসিক ও সামরিক যুদ্ধে— সর্বাত্মক প্রতিরোধ ও অটল থাকা-ই একমাত্র বিজয়ের পথ।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: শত্রুকে অতিরঞ্জিতভাবে বড় করে দেখা এবং তার মানসিক যুদ্ধ মেনে নেওয়া—এই দুইয়ের ফলে পিছু হটার মনোভাব তৈরি হয়, যা শেষ পর্যন্ত ধর্মীয় ও মানবিক মূল্যবোধের পতনের দিকে নিয়ে যায়।

ইহুদি শাসনের ইসলামের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক শত্রুতা এবং ইসলামী দীনকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য তাদের প্রচেষ্টা, এই বাস্তবতাই প্রমাণ করে যে, শত্রুর সঙ্গে আপস করাটা ইসলামের মূল থেকে বিশ্বাসঘাতকতা করার নামান্তর।

শত্রুকে দূরদর্শিতার সঙ্গে বুঝতে হবে, ভয় নয়
দুশমনকে সঠিকভাবে চিনতে পারা এবং তার হুমকিকে বড় করে না দেখা—এটাই শত্রু মোকাবিলার অন্যতম ভিত্তি।

বর্তমানে ইসরায়েল একটি বিশাল মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের মাধ্যমে নিজেকে শক্তিশালী এবং ইরানকে দুর্বল হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছে।

এই মানসিক যুদ্ধের লক্ষ্য হলো—ইরানিদের মধ্যে হতাশা ছড়ানো, আত্মসমর্পণের মানসিকতা তৈরি করা এবং দুশমনের হাতে বিজয় তুলে দেওয়া।

শত্রুর ষড়যন্ত্র নানাবিধ ও বৈচিত্র্যময় 
আমেরিকা ও ইসরায়েল বিভিন্ন উপায়ে ইরানকে পিছনে ঠেলে দিতে চায়—

তারা ইরানের প্রজ্ঞাবান শ্রেণিকে আমেরিকান নীতির প্রতি ঝুঁকিয়ে দিতে চায়। গণমত প্রভাবিত করে। সামরিক কমান্ডারদের টার্গেট করে হত্যা চালায়। ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে চাপ প্রয়োগ করে। তাদের লক্ষ্য শুধুমাত্র পরমাণু ইস্যু নয়—তারা ইরানের উপর সম্পূর্ণ আধিপত্য চায়।

শত্রুদের ষড়যন্ত্রের ধাপ কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে?
প্রথমে তারা ফিলিস্তিন ও প্রতিরোধ ফ্রন্টকে টার্গেট করেছে। এরপর তারা ইরানকে বিশ্বের নিপীড়িতদের সমর্থন থেকে বিরত রাখতে চেয়েছে। পরে ইরানের সামরিক স্থাপনায় হামলা এবং কুদস ফোর্স ও সিপাহ্‌ সদস্যদের হত্যায় মনোযোগ দিয়েছে। এখন তারা ইরানের শাসনব্যবস্থাকে উৎখাত করার চেষ্টায় লিপ্ত। এমনকি তারা ইসলামবিহীন একটি নতুন কাঠামো গড়ে তুলতে চায়।

এই শত্রুতা কেবল রাজনৈতিক নয়, ধর্মীয়ও
এই শত্রুতা মানুষের বা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নয়— বরং ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তির বিরুদ্ধেই।
তাই এমন শত্রুর সামনে পিছু হটা মানে মুসলমান হিসেবে আত্মসমর্পণ এবং ইসলামী মূল্যবোধের পরিত্যাগ।

বাস্তবতা কী?
এই শত্রুরা মুখে মুখে “জনগণের কথা” বললেও ঠিকই তারা হাসপাতাল, বেসামরিক এলাকা, ও নিরস্ত্র কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করছে।

তাদের প্রতিরোধ করার একমাত্র উপায় হলো—অবিচল থাকা, ঐক্য রক্ষা করা এবং পিছু না হটা।

আমেরিকা ও ইসরায়েলের ইসলাম ও ইরানের প্রতি শত্রুতা অসীম। তাই একমাত্র পথ হলো—প্রতিরোধ ও ঐক্য। যেকোনো আপস শুধু ইসলামের মূল শিকড়ে আঘাত নয়, বরং শত্রুর ষড়যন্ত্রের সামনে আত্মসমর্পণও।

পিছু হটা মানে শুধু শারীরিক পতন নয়, বরং তা হলো বিশ্বাস, মানবতা ও স্বাধীনতার চূড়ান্ত পতন।এটি যে কোনো মূল্যে এড়াতে হবে। মুসলমানদের কাজ হল ইসলামের জন্য লড়ে যাওয়া, বিজয় দান তো আল্লাহর প্রতিশ্রুতি।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha