হাওজা নিউজ এজেন্সি: পেজশকিয়ান বলেন: "আজ, ১২ দিনের যুদ্ধের পর যা ইহুদী রাষ্ট্রের আগ্রাসী পদক্ষেপের কারণে আমাদের ওপর চাপানো হয়েছিল, শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সময়ে, পৃথিবী দেখেছে যে ইরানের মহান জাতি তাদের জনগণের সমর্থনে কতটা শক্তিশালী। যদিও শত্রু এই যুদ্ধ চাপিয়েছিল, তবে এর সমাপ্তি ইরানের জনগণের ইচ্ছা ও শক্তির মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "এই সন্ত্রাসী আক্রমণের সূচনা ছিল ভিত্তিহীন এবং পুরানো অজুহাতে, তবে ইরান শান্তিপূর্ণ সমঝোতার জন্য সর্বদা প্রস্তুত ছিল। শত্রুদের দ্বৈত মনোভাব এবং আমাদের শক্তিশালী ও একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সঙ্গে, তারা সঠিকভাবে আমাদের সম্মুখীন হতে পারেনি। ইতিহাস কখনোই শত্রুদের বিশ্বাসঘাতকতা এবং অঙ্গীকার ভঙ্গের কথা ভুলবে না, যারা আলোচনা চালানোর সময় আক্রমণ করেছিল।"

ইরানের জনগণ!
"আমরা আপনার দৃঢ় প্রতিরোধ ও একতার কাছে ঋণী, এবং আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি যে এই বিজয় সেই ঐক্য এবং শান্তির ফলস্বরূপ হয়েছে, যা আমরা এই সময়ে উপভোগ করেছি। আমাদের অবশ্যই এই ঐক্য ধরে রাখতে হবে, কারণ এটি দেশের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। এই বিজয়টি পুরোপুরি ইরানের সভ্যতা গঠকারী জনগণের গৌরব, এবং যদি শত্রু তাদের ইতিহাসের দিকে ভালোভাবে নজর দিত, তাহলে তারা কখনও এমন ভুল করত না।"

আমি ইরানের জনগণের সেবক হিসেবে তাদের প্রতি আমার গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই এবং বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই সেই সমস্ত সাহসী যোদ্ধাদেরকে যারা এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে তাদের অনবদ্য ভূমিকা পালন করেছেন। সেনাবাহিনী, বিপ্লবী গার্ড, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বেসিজ, স্বাস্থ্য কর্মী, ব্যবসায়ী, মিডিয়া কর্মী, শিল্পী, ক্রীড়াবিদ এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মীরা, যারা এই মুহূর্তে দেশকে সাহায্য করেছেন, তাদের প্রতি আমি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।"

এছাড়া, দেশের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর পুনর্গঠন এবং পুনরুদ্ধারে সরকারী দপ্তরগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করবে। “বিশ্বের প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি আমাদের বার্তা, আমরা শান্তি এবং স্থিতিশীলতার প্রতি আমাদের গভীর আস্থা রাখি এবং ইরান ইসলামের প্রতিরক্ষা শক্তি সবসময় মুসলিম ভাইদের এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে শান্তি ও বন্ধুত্বের পক্ষে থাকবে, ইনশাল্লাহ।