হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর সাম্প্রতিক আগ্রাসন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ইরানের কৌশলগত স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার প্রেক্ষিতে এক বিবৃতিতে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল সাইয়্যেদ আবদুর রহিম মুসাভি বলেন, ইরানের সাহসী সন্তানেরা সশস্ত্র বাহিনীর অংশ হিসেবে শত্রুর বিরুদ্ধে যেভাবে নিখুঁত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তা শত্রুর ঘাঁটিতে চরম ক্ষয়ক্ষতির সৃষ্টি করেছে। পশ্চিমা প্রচারমাধ্যমের কড়া সেন্সরের মধ্যেও এসব ক্ষয়ক্ষতির চিত্র আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রকাশ পেয়েছে।
জেনারেল মুসাভি আরও জানান, ইরান কখনো কোনো যুদ্ধের সূচনা করে না, তবে যদি কেউ ইরানের ভূখণ্ডে আগ্রাসন চালায়, তাহলে সেই যুদ্ধের পরিণতি নির্ধারণ করে তেহরান।
তিনি বলেন, শত্রুর উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রযুক্তির কাছে ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে। এমনকি অধিকৃত ভূখণ্ডের সাধারণ মানুষ বোমাশেল্টারের মধ্যেও নিরাপত্তা অনুভব করেনি।
তিনি আমেরিকার সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার মাধ্যমে ইসরায়েলকে রক্ষার যে অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল, তা ছিল সম্পূর্ণ ব্যর্থ। বিশেষ করে কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি ‘আল-উদেইদ’-এ আমাদের পাল্টা জবাব প্রমাণ করেছে, ইরান তার নিরাপত্তা রক্ষায় কোনও আপস করে না।
তিনি দাবি করেন, ইরানের শক্ত জবাবের পর আমেরিকার নীতিনির্ধারকরা মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করে এবং কার্যত ইসলামি প্রজাতন্ত্রের দৃঢ় অবস্থানের সামনে নতিস্বীকার করে।
বিবৃতির শেষাংশে জেনারেল মুসাভি ইরানি জনগণকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আপনারা যেভাবে আমাদের সাহসী সশস্ত্র বাহিনীর পাশে দাঁড়িয়েছেন, তা অতুলনীয়। তবে আমি শত্রুদের আবারও সতর্ক করে দিতে চাই—তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ আমাদের নজরে রয়েছে। যদি তারা আবারও কোনো কৌশলগত ভুল করে, তাহলে তাদের ইতিহাসের অন্ধকারে নিক্ষিপ্ত করা হবে।
আপনার কমেন্ট