হাওজা নিউজ এজেন্সি: প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান জানান, ইরানের ভূখণ্ডে ইসরাইলি হামলার পর সশস্ত্র বাহিনী জাতিসংঘ সনদের ৫১-তম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বৈধ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে তেহরান-ওয়াশিংটন পরোক্ষ আলোচনার মাঝেই ইসরাইল ইরানের ভূখণ্ডে বিমান হামলা চালায়,”— তিনি বলেন। “যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের এ সামরিক আগ্রাসন আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুনের চরম লঙ্ঘন এবং আইএইএ-র সম্পূর্ণ তত্ত্বাবধানে থাকা আমাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তাকে হুমকিতে ফেলেছে।”
তিনি দাবি করেন, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ ব্যবস্থাকে অপূরণীয় ক্ষতি করেছে। প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি) ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থাকে (আইএইএ) “উত্তেজক এবং যুদ্ধবাদী পক্ষের” বিরুদ্ধে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের ধারাবাহিক ঘটনায় ইসরাইলকে প্রশ্রয় দেওয়ার নীতি ত্যাগ করারও আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে তিনি ওই হামলার নিন্দা জানানো দেশগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অর্থনৈতিক সহযোগিতার প্রসঙ্গ টেনে পেজেশকিয়ান বলেন, ইরান-ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের (EAEU) মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) দ্রুত বাস্তবায়িত হলে আঞ্চলিক বাণিজ্য সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত হবে।
হামলা ও পাল্টা প্রতিক্রিয়া
১৩ জুন: ইসরাইল “অবাঞ্ছিত ও অকারণ” হামলা চালিয়ে ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে—যার ফলে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী-সহ অন্তত ৬০০ ব্যক্তি নিহত হন।
ইরানের জবাব: ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) এয়ারোস্পেস ইউনিট ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস III’-এ ২২ দফায় পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে অধিকৃত অঞ্চলের বিভিন্ন স্থাপনার ব্যাপক ক্ষতি করে।
প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের ভাষায়, “যদি ইসরাইলের ওই আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব না দিতাম, আজ পুরো অঞ্চল যুদ্ধের আগুনে পুড়ত।”
আপনার কমেন্ট