হাওজা নিউজ এজেন্সি: রবিবার পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে জেনারেল মুসাভি ইসলামাবাদের “সাহসী ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান” গ্রহণের জন্য প্রশংসা করেন।
প্রেস টিভি জানিয়েছে, তিনি পাকিস্তানের জনগণকেও কৃতজ্ঞতা জানান, যারা ইরানি জনগণের বিরুদ্ধে দখলদার ইসরায়েলের অপ্ররোচিত আগ্রাসনের প্রতিবাদে সাহসী অবস্থান গ্রহণ করেছেন।
১৩ জুন শুরু হওয়া এই আগ্রাসনে ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের লক্ষ্যবস্তু করে হত্যা করে। সেইসাথে, সাধারণ বেসামরিক মানুষ, নারী ও শিশুসহ বহু মানুষও এতে প্রাণ হারায়। এই বর্বর হামলার বিরুদ্ধে পাকিস্তান তেহরানের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন প্রকাশ করে।
জেনারেল মুসাভি বলেন, ১২ দিনব্যাপী এই আগ্রাসনের পুরো সময়জুড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইসরায়েলকে সর্বাত্মক সহায়তা করেছে।
২২ জুন, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইরানের তিনটি বেসামরিক পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়—ইস্পাহান, নাতাঞ্জ ও ফোরদো—যেগুলো আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (IAEA)-র তত্ত্বাবধানে পরিচালিত।
তিনি আরও বলেন “যুক্তরাষ্ট্র শুধু হামলায় অংশগ্রহণ করেই থেমে থাকেনি, বরং ইসরায়েলকে ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা থেকে রক্ষায় সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছে।”
তার ভাষায়, “যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি, কিছু পশ্চিমা দেশও সরাসরি ও পরোক্ষভাবে শত্রুপক্ষকে রাজনৈতিক ও সামরিক সমর্থন দিয়েছে।”
তিনি জানান, “যদিও যুদ্ধের শুরুতেই আমরা কিছু অভিজ্ঞ ও শীর্ষস্থানীয় কমান্ডারকে হারিয়েছি, তবুও আমরা শত্রুর ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করেছি এবং তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে বাধা দিয়েছি। এমনকি শেষপর্যন্ত তারা বাধ্য হয়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে বাধ্য হয়েছে।”
২৩ জুন, ট্রাম্প কর্তৃক একতরফাভাবে ঘোষিত অস্ত্র বিরতির পর ইসরায়েল হামলা বন্ধ করতে বাধ্য হয়। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, নিজেদের সামর্থ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার কারণে তেল আবিব এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়।
আপনার কমেন্ট