হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সমাবেশে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান, সংসদ স্পিকার মোহাম্মদ বাকের ক্বালিবাফ, বিচার বিভাগের প্রধান হুজ্জাতুল ইসলাম মুহসিনি ইজেহি, চিফ অব আর্মি স্টাফ সাইয়েদ আবদুর রাহিম মুসাভি এবং ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (IRGC)-এর কমান্ডার ইন চিফ গণমাধ্যমের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। অনুষ্ঠানে শহীদদের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
সমবেত সবাই একসঙ্গে বিশ্বকে এই বার্তা দেন যে, ইরান শহীদদের রক্তে দুর্বল হয় না বরং আরও বেশি শক্তিশালী হয় এবং নতুন জীবন লাভ করে। একইসাথে, শত্রুদের উদ্দেশে তারা জানিয়ে দেন— ইরানকে পরীক্ষা করার চিন্তা করাও বোকামি হবে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট IRIB নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইসরায়েল ও আমেরিকার আগ্রাসনের জবাবে যা কিছু করা হয়েছে, তা শহীদদের আত্মত্যাগ ও তাদের গড়ে তোলা অবকাঠামোর ফল। যদি তারা না থাকত, তাহলে ইরান এই সফলতা অর্জন করতে পারত না।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সংসদ স্পিকার ক্বালিবাফ বলেন, ইরান যেভাবে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে, তা গত ৮০ বছরে আর কখনো দেখা যায়নি। ইসরায়েল আমেরিকা ছাড়া কিছুই করতে পারে না।
এসময় বিচার বিভাগের প্রধান বলেন, গত ৪০ বছরে ইসলামি বিপ্লবের ইতিহাসে শহীদরাই ইরানের মর্যাদা ও স্থিতিশীলতাকে আরও দৃঢ় করেছেন।
ইরানের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবদুর রাহিম মুসাভি সাহার টিভিকে জানান, বিশ্বের সমস্ত স্বাধীনতাপ্রেমী মানুষের উচিত— মানবাকৃতির বর্বর সিয়োনি শত্রুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। সেই সিয়োনি জানোয়ার, যে গত দুই বছরে গাজা ও ফিলিস্তিনে ৬০ হাজারেরও বেশি শিশু, নারী, বৃদ্ধ, রোগী ও নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করেছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববাসীর উচিত এসব সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া, যারা আগ্রাসন ও সম্প্রসারণবাদে কোনো সীমা মানে না।
সিয়োনি শত্রুকে সতর্ক করে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান বলেন, ১২ দিনের যুদ্ধ চলাকালীন সিয়োনিবাদীরা ইতোমধ্যেই ইরানি জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষমতা এবং রাহবারে ইনকেলাবের নেতৃত্বের স্বাদ পেয়েছে। আশা করি তারা আবার ভুল করবে না, আর যদি করে, তবে এবার আরও কঠোর, শক্তিশালী ও ধ্বংসাত্মক জবাব পাবে। তখন বিশ্ব ইরানের নতুন প্রতিরোধ ক্ষমতার বাস্তব উদাহরণ দেখতে পাবে।
আপনার কমেন্ট