হাওজা নিউজ এজেন্সি: পুনর্নিযুক্ত এই তিনজন হলেন—আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আহমাদ খাতামি, আয়াতুল্লাহ আলীরেজা আ’রাফি এবং আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আহমাদ হোসেইনি খোরাসানি।
শূরা’য়ে নেগাহবনের মহাসচিব আয়াতুল্লাহ আহমাদ জান্নাতি এক চিঠিতে সর্বোচ্চ নেতাকে অবহিত করেন যে, উক্ত তিনজন ফকীহের সদস্যপদ ১৪০৪ সালের ২৫ তির (১৫ জুলাই ২০২৫) তারিখে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
এর জবাবে সর্বোচ্চ নেতা লিখিতভাবে নির্দেশ দেন:
“সালাম ও শুভেচ্ছা। উপরোক্ত সম্মানিত ব্যক্তিবর্গকে পুনরায় শুরা’য়ে নেগাহবনের ফকীহ সদস্য হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছি।”
ইরানের সংবিধানের ৯১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, শুরা’য়ে নেগাহবনের ১২ সদস্যের মধ্যে ৬ জন ফকীহকে নিয়োগের একক ক্ষমতা থাকে দেশের সর্বোচ্চ নেতার হাতে।
এছাড়া, ১১০ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে, এই ফকীহদের নিয়োগ ও অপসারণের এখতিয়ারও কেবল সর্বোচ্চ নেতার ওপর ন্যস্ত।
অন্যদিকে, বাকি ৬ জন আইনজ্ঞ সদস্য বিচার বিভাগের প্রধানের মনোনয়নক্রমে সংসদে উপস্থাপিত হন এবং সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন।
শুরা’য়ে নেগাহবন ইরানে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, যার মূল দায়িত্ব সংবিধান ও শরিয়তের আলোকে সংসদীয় আইন যাচাই, নির্বাচনী প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ এবং প্রার্থীদের যোগ্যতা নির্ধারণ।
আপনার কমেন্ট