হাওজা নিউজ এজেন্সি: মঙ্গলবার তুর্কমেনিস্তানের আওয়াজা শহরে অনুষ্ঠিত ‘তৃতীয় স্থলবেষ্টিত উন্নয়নশীল দেশসমূহের সম্মেলন’-এর ফাঁকে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রসঙ্গে ড. আরেফ বলেন,
“আমরা আন্তর্জাতিক সকল আইন ও চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র কখনোই উপসংহারে পৌঁছাতে পারেনি যে, ইরান তার পরমাণু কর্মসূচিকে সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে। কিন্তু সাম্প্রতিক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তারা প্রকাশ্যভাবে ইসরায়েলি আগ্রাসনের পাশে দাঁড়িয়েছে, যা দুঃখজনক।”
তিনি আরও বলেন, “ইরান বিশ্বশান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের সঙ্গে সহযোগিতা করতে সদা প্রস্তুত। তবে আমরা আশা করি জাতিসংঘ পশ্চিমা বিশ্বের ইরান-ভীতি (Iranophobia) ও নেতিবাচক প্রচারণার বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নেবে।”
ড. আরেফ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “যদি এ ধরনের আগ্রাসন আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিরোধ না করা হয়, তবে তা এক পর্যায়ে একটি নিয়মিত প্রবণতায় পরিণত হতে পারে — যার ফলে গোটা অঞ্চলে অস্থিরতা ও সংঘাত আরও বাড়বে।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “যদি জাতিসংঘ শুরুতেই আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করত, তবে আজ আমরা ফিলিস্তিন ও গাজায় চলমান ট্র্যাজেডিগুলো দেখতে পেতাম না।”
গাজায় চলমান মানবিক সংকটের বিষয়ে ড. আরেফ বলেন, “আজকের আধুনিক যুগে গাজায় যা ঘটছে, তা মানবতা, সভ্যতা ও ন্যায়বিচারের মুখে এক নির্মম চপেটাঘাত। আমরা জাতিসংঘের কাছে আরও সক্রিয় ও ফলপ্রসূ ভূমিকার প্রত্যাশা করি, যেন ইসরায়েলি আগ্রাসন প্রতিহত করা যায়।”
এর জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, “ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারা ইরানের ওপর পরিচালিত হামলা আন্তর্জাতিক আইন পরিপন্থী। আন্তর্জাতিক নীতিমালা রক্ষা করা এবং যুদ্ধবিরতি বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, “ইরানের পারমাণবিক ইস্যুর সমাধান অবশ্যই কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই হতে হবে। জাতিসংঘ এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।”
আপনার কমেন্ট