বুধবার ৬ আগস্ট ২০২৫ - ২১:২০
আইআরজিসির হুঁশিয়ারি: যেকোনো হুমকির জবাব হবে শত্রুর কল্পনাতীত

ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) এক বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জানিয়েছে, ইরানের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের হুমকির জবাব হবে কঠোর, সুপরিকল্পিত এবং শত্রুদের কল্পনার বাইরে—এমনকি ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস ৩’-এর চেয়েও ভয়াবহ।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইরানি সামরিক কমান্ডারদের শাহাদাতের ৪০ দিন বা চল্লিশা উপলক্ষে দেওয়া এই বিবৃতিতে আইআরজিসি জানায়, দেশটির নিরাপত্তা ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা বিনষ্টের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে এবং সেই প্রতিক্রিয়া শত্রুর জন্য হবে গভীর অনুশোচনামূলক।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছি—ইরানের বিরুদ্ধে যেকোনো হুমকির জবাব হবে শত্রুদের কল্পনাতীত এবং আগের যেকোনো অভিজ্ঞতার চেয়ে অনেক বেশি তীব্র ও ধ্বংসাত্মক।”

আইআরজিসি আরও জানায়, তারা যেকোনো সময় ও যেকোনো স্থানে যুক্তরাষ্ট্র, ইহুদিবাদী ইসরায়েল ও তাদের মিত্রদের যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের জবাব দিতে—  ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর অন্যান্য শাখার সঙ্গে সমন্বয়ে সদা প্রস্তুত রয়েছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ১৩ জুন ইহুদিবাদী ইসরায়েল ইরানের সামরিক, পারমাণবিক এবং আবাসিক এলাকাগুলোতে টানা ১২ দিন হামলা চালিয়ে একটি সরাসরি যুদ্ধ শুরু করে। এরপর ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নাতাঞ্জ, ফোর্দো এবং ইসফাহানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়।

এই আগ্রাসনের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে শক্তিশালী প্রতিআক্রমণ চালায়। ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস ৩’-এর আওতায় আইআরজিসির এয়ারোস্পেস ফোর্স ইসরায়েলের দখলকৃত অঞ্চলে ২২ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যার ফলে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়।

এছাড়া, মার্কিন হামলার জবাবে ইরানি বাহিনী কাতারে অবস্থিত পশ্চিম এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ঘাঁটি ‘আল-উদেইদ’-এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

শেষ পর্যন্ত, ২৪ জুন একটি যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে সংঘর্ষের অবসান ঘটে।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha