হাওজা নিউজ এজেন্সি: জাতীয় প্রতিরক্ষা শিল্প দিবস” উপলক্ষে তেহরানে অবস্থানরত বিদেশি সামরিক অ্যাটাশেদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
তিনি ১২ দিনের ইসরায়েলি আরোপিত যুদ্ধে শাহাদাতবরণকারী সামরিক কমান্ডার, বিজ্ঞানী, নারী-পুরুষ ও শিশুদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। নাসিরজাদে বলেন, ইরানের সরকারি ক্যালেন্ডারে ২২ আগস্টকে “জাতীয় প্রতিরক্ষা শিল্প দিবস” হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আজকের এই প্রতিরক্ষা শিল্প দেশীয় সক্ষমতা, আত্মনির্ভরতা, অধ্যবসায় ও ইসলামি-ইরানি মূল্যবোধের ভিত্তিতে এবং ইসলামী বিপ্লবের নেতার দূরদর্শী দিকনির্দেশনায় জাতীয় নিরাপত্তা ও শক্তির অন্যতম স্তম্ভে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, “১২ দিনের আরোপিত যুদ্ধের শুরু থেকেই জায়নিস্ট শাসন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ রাজনৈতিক, গোয়েন্দা, সামরিক ও কৌশলগত সহায়তা পায়। শেষ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এই হামলায় জড়িয়ে পড়ে। আমরা জানি, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও কিছু পশ্চিমা ও আঞ্চলিক দেশ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিল। অন্যদিকে, অবৈধ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানকে সম্পূর্ণভাবে নিজস্ব সক্ষমতার ওপর নির্ভর করতে হয়েছে।”
নাসিরজাদে আরও জানান, “যখন ওমানের মাসকাটে আমেরিকার সঙ্গে ষষ্ঠ দফা আলোচনার বিষয়ে সম্মত হয়েছিলাম, তখনই ১৩ জুন ভোরে মার্কিন সমর্থনে জায়নিস্ট শাসন বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এ হামলা ছিল সামরিক ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সমন্বিত রূপ। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানী পরিবারসহ বিশ্রামে থাকাকালে শহীদ হন। হামলার প্রথম ঢেউ চালানো হয় সিরিয়া ও ইরাকের নিয়ন্ত্রণ শূন্যতার সুযোগ নিয়ে। ইরানের ভেতরে সক্রিয় ইসরায়েলি এজেন্টদেরও এ অভিযানে ব্যবহার করা হয়।”
আপনার কমেন্ট