হাওজা নিউজ এজেন্সি: আমেরিকান সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন একাধিক সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলায় সক্রিয় মাদক পাচারকারী গোষ্ঠীগুলোর ওপর হামলার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনা অভূতপূর্ব পর্যায়ে পৌঁছাবে।
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো শুক্রবার এক বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেছেন, লাতিন আমেরিকায় সহিংস সরকার পরিবর্তনের পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হবে। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রকে সার্বভৌমত্ব, শান্তি ও স্বাধীনতার অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। আমি ট্রাম্পকে সম্মান করি, তবে কোনো মতভেদই সামরিক সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে না। ভেনেজুয়েলা সবসময় আলোচনার জন্য প্রস্তুত।”
মার্কিন হুমকির জবাবে মাদুরো সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। বর্তমানে দেশটির সেনাবাহিনীতে প্রায় ৩ লক্ষ ৪০ হাজার সদস্য রয়েছে। এছাড়া তিনি দাবি করেছেন, রিজার্ভ ও মিলিশিয়া সদস্য সংখ্যা আট মিলিয়নেরও বেশি। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি ভেনেজুয়েলাকে আক্রমণ করা হয়, তবে দেশটি অবিলম্বে সশস্ত্র সংগ্রামের পথে প্রবেশ করবে।”
অন্যদিকে, ট্রাম্প শুক্রবার এক বক্তব্যে দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলায় সরকার পরিবর্তনের কথা ভাবছে না। তবে তিনি জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রসঙ্গে বলেন, “এটি অন্তত বলতে গেলে অত্যন্ত অস্বাভাবিক একটি নির্বাচন ছিল।”
এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান মোতায়েনের খবর যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যারিবীয় অঞ্চলে চলমান সামরিক সমাবেশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সেখানে ইতোমধ্যে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ, বিপুলসংখ্যক মেরিন সেনা এবং একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত দ্রুত আক্রমণাত্মক সাবমেরিন ভেনেজুয়েলার আঞ্চলিক জলসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।
আপনার কমেন্ট