হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, হযরত আলী (আ.) সেজদার তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, নামাজের প্রতিটি সেজদার ভেতরেই রয়েছে মানুষের সৃষ্টি, মৃত্যু ও কিয়ামতের গভীর দর্শন।
তিনি বলেন, প্রথম সেজদায় যখন কপাল মাটিতে রাখা হয়, তখন স্মরণ করতে হবে আল্লাহর বাণী:
«وَمِنْهَا خَلَقْنَاكُمْ» — “আমি তোমাদের মাটি থেকেই সৃষ্টি করেছি।”
অর্থাৎ মানুষকে তার মাটির আসল ও ক্ষুদ্রতর অস্তিত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়। জীবনের ত্রুটি, পাপ ও সীমাবদ্ধতাগুলো স্মরণ করে বান্দা তখন বলতে পারে:
أَسْتَغْفِرُ ٱللَّهَ رَبِّي وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
(আমি আমার রব আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই এবং তাঁর দিকে ফিরে আসি)।
দ্বিতীয় সেজদায় যাওয়ার সময় মনে করতে হবে কুরআনের আয়াত:
«وَمِنْهَا خَلَقْنَاكُمْ وَفِيهَا نُعِيدُكُمْ» — “আমি তোমাদের মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি এবং সেখানেই ফিরিয়ে দেবো।”
এখানে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে মৃত্যুর পর মানুষের কবরগৃহে প্রত্যাবর্তনের প্রতি। দ্বিতীয় সেজদায় কপাল রাখার সময় যেন মনে হয়— আমরা কবরে প্রবেশ করেছি এবং কিয়ামতের ময়দানে দাঁড়িয়ে আছি। সেদিন আল্লাহ প্রত্যেককে বলবেন: জীবনে যা কিছু করেছো, তার সবকিছুর হিসাব দিতে হবে।
হযরত আলী (আ.)-এর এ ব্যাখ্যা সেজদার প্রতিটি ধাপকে শুধু ইবাদতের রূপেই নয়, বরং মানুষকে তার উৎস, পরিণতি এবং আখিরাতের জবাবদিহির দিকে গভীরভাবে চিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ করে।
আপনার কমেন্ট