শনিবার ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ - ২০:৪৬
বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কুরআনের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হোক

হাওযার পরিচালক নতুন প্রজন্মের প্রতি মনোযোগ দেওয়াকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন: এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যাতে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা ব্যবস্থায় কুরআনের বার্তাগুলি প্রতিফলিত হয়। ভার্চুয়াল জগৎ ও ইন্টারেকটিভ মিডিয়াও তরুণ প্রজন্মের প্রয়োজন ও রুচি, এমনকি আন্তর্জাতিক শ্রোতাদের বোঝার জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।

হাওযা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের হাওযা পরিচালনা বিভাগের প্রধান আয়াতুল্লাহ আলিরেজা আ’রাফি ইকনা সংবাদ সংস্থার প্রধান সম্পাদক জলিল বেত-মিশআল-এর সঙ্গে সাক্ষাতে জিহাদে-দানেশগাহি’র কুরআনি কার্যক্রম ও বিশেষভাবে ইকনার কাজের প্রশংসা করেন এবং বলেন: কুরআন হলো ইসলামি চিন্তার কেন্দ্রবিন্দু। কুরআনের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া ইরান ও হাওযার জন্য একটি কৌশলগত বিষয়।

তিনি ইসলামি শিক্ষায় কুরআনের উচ্চ মর্যাদার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন: কুরআন স্বভাবতই ইসলামি চিন্তার মূল কেন্দ্র, এবং অন্যান্য সব জ্ঞান ও শিক্ষা শেষ পর্যন্ত তার কাছেই ফিরে যায়। কুরআনের প্রতি মনোযোগ কেবল মানবজীবন ও জ্ঞানের বিভিন্ন দিকেই প্রভাব ফেলে না, বরং এটি আমাদেরকে উম্মাহর ভেতরে সঠিকভাবে উপস্থাপন করে এবং বিশ্ব ইসলামি উম্মাহ গঠনে সহায়তা করতে পারে।

হাওযার পরিচালক আরও বলেন: কুরআনের প্রতি মনোযোগের একটি কৌশলগত কারণ হলো সেই অভিযোগ দূর করা যে ইসলামি প্রজাতন্ত্র বা হাওযা কুরআন ও হযরত নবী (সা.)-এর প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ দেয় না। কুরআনভিত্তিক কাজ এই ধোঁয়াশা দূর করতে পারে।

আয়াতুল্লাহ আ’রাফি হাওযার কুরআন বিজ্ঞানে অর্জনের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন: হাওযার ইতিহাসে কুরআন বিজ্ঞানের বিস্তারিত উৎপাদন অতুলনীয়। আজ আমাদের কাছে কুরআন বিজ্ঞানে বিশাল কাঠামো, কুরআনের ভাষা ও যুক্তি বিষয়ে আধুনিক গবেষণা, নতুন একাডেমিক শাখা ও বহু স্বাধীন কোর্স রয়েছে, যা বিশাল সক্ষমতা হিসেবে গণ্য হয়।

হাওযার উচ্চ পরিষদের সদস্য বিভিন্ন ভাষায় কুরআনের অনুবাদ, থিসিস, প্রবন্ধ এবং হাওযার ভেতরে ও বাইরে কুরআনভিত্তিক প্রচারমূলক কার্যক্রম বিস্তারের ওপর জোর দেন।

তিনি আন্তর্জাতিক কার্যক্রমের প্রয়োজনীয়তার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন: হাওযার কুরআনভিত্তিক অর্জনগুলো যদি বিশ্বব্যাপী প্রতিফলিত করতে হয়, তবে সেগুলো আন্তর্জাতিক ভাষা ও বর্ণনায় পুনর্গঠন ও পুনরায় উপস্থাপন করতে হবে। আমাদের একটি বৈশ্বিক বক্তব্য রয়েছে, তবে আমাদের আন্তর্জাতিক ভাষার শক্তি দুর্বল। বিভিন্ন ভাষার ব্যবহার ও জামেয়াতুল-মুস্তাফার স্নাতকদের মাধ্যমে ১০০ টিরও বেশি দেশে কুরআনভিত্তিক কেন্দ্র গঠন এক বিশাল পরিবর্তন আনতে পারে।

হাওযার পরিচালক নতুন প্রজন্মের প্রতি মনোযোগ দেওয়াকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আবারও জোর দেন এবং বলেন: বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা ব্যবস্থায় কুরআনের বার্তাগুলো প্রতিফলিত করার ব্যবস্থা নিতে হবে। ভার্চুয়াল জগৎ ও ইন্টারেকটিভ মিডিয়াও তরুণ প্রজন্ম ও আন্তর্জাতিক শ্রোতাদের চাহিদা জানার জন্য সুযোগ তৈরি করেছে।

আয়াতুল্লাহ আ’রাফি সাক্ষাতের শেষে ইকনা সংবাদ সংস্থার সঙ্গে হাওযার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন এবং বলেন: সমিতি, গবেষণা, প্রচার ও নৈতিকতা বিভাগের সঙ্গে সংযোগ হলো প্রধান কেন্দ্রবিন্দু, যা কুরআনভিত্তিক কার্যক্রমের মর্যাদা আরও উন্নত করতে পারে।

সাক্ষাতের শুরুতে ইকনা সংবাদ সংস্থার প্রধান সম্পাদক জলিল বেত-মিশআল এই মাধ্যমের কর্মসূচি ও কার্যক্রমের একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha