শুক্রবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ - ১৪:৪৮
সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহকে স্মরণে বৈরুতের রাউশে রক আলোকিত করল প্রতিরোধ সমর্থকরা

লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর সমর্থকেরা বৃহস্পতিবার রাতে বৈরুতের বিখ্যাত রাউশে রককে আলোকসজ্জায় উদ্ভাসিত করেন। সেখানে প্রদর্শিত হয় শহীদ মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ — যাকে সমর্থকরা “জাতির শহীদদের নেতা” বলে স্মরণ করেন — এবং তাঁর উত্তরসূরি সাইয়্যেদ হাশিম সাফিউদ্দিনের প্রতিকৃতি।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বৈরুতের পশ্চিম উপকূলে হাজারো মানুষ সমবেত হয়ে শহীদের স্মরণে সমাবেশ করেন। অনুষ্ঠানে সমুদ্রপাড়ে বিশেষ নৌ-প্রদর্শনী, লেবাননের জাতীয় পতাকা আলোকিতকরণ এবং শহীদদের ছবি রাউশে রকের ওপর প্রজেক্ট করা হয়। রাজধানীর এই বিখ্যাত প্রাকৃতিক নিদর্শন মুহূর্তের জন্য পরিণত হয় শহীদদের প্রতি সম্মিলিত শ্রদ্ধার প্রতীক।

সমাবেশে উপস্থিত জনতা একসঙ্গে স্লোগান দিতে থাকেন এবং পতাকা নাড়িয়ে শহীদদের প্রতি তাদের আনুগত্য ও প্রতিরোধের প্রতি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

এ উপলক্ষে হিজবুল্লাহর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল শেখ নাঈম কাসেম এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। তিনি বলেন, প্রতিরোধ আন্দোলন তাদের শহীদদের রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা ও মর্যাদা অর্জন করেছে, তা রক্ষা করতে সর্বদা প্রস্তুত। তিনি শহীদ হাজ আব্দুল কাদেরের সংগ্রামী জীবন স্মরণ করে বলেন, “আব্দুল কাদের ১৯৮২ সালের আগ্রাসনের সময় প্রতিরোধের অগ্রভাগে ছিলেন। তিনি ৯০-এর দশকে কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন, আনসারিয়া অভিযানে অংশ নেন এবং ২০০৬ সালের যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন।”

শেখ কাসেম শহীদ ইব্রাহিম আকিলেরও স্মৃতিচারণ করেন, যিনি সিরিয়ার কুসায়ার ও কালামুন ফ্রন্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং ২০০৮ সাল থেকে সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহর সহকারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “প্রতিরোধ সর্বদা মাথা উঁচু করে থাকবে, ইসরায়েল বা আমেরিকা যাই করুক না কেন। এটি শহীদদের প্রতিরোধ—সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ, সাইয়্যেদ হাশেম সাফিউদ্দিন, আব্দুল কাদের এবং অসংখ্য শহীদের প্রতিরোধ।”

তিনি যোগ করেন যে প্রতিরোধের অস্ত্র জনগণের আস্থার প্রতীক এবং স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য অপরিহার্য। “আমরা সংলাপে অংশ নিই শক্তির অবস্থান থেকে। আমাদের সংগ্রাম দখলদারকে বিতাড়িত করা পর্যন্ত চলবে, কারণ আমরা পূর্ণ মুক্তির কম কিছু মেনে নেব না।”

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha