হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, হযরত আয়াতুল্লাহ জাওয়াদী আমুলী বলেছেন: কিছু মরুভূমির প্রাণী-যেমন হিজাজের উট-কাঁটা বা তীক্ষ্ণ গাছপালা খেয়ে তৃপ্ত হয়। কিন্তু এই মজুতদার (যে পণ্য লুকিয়ে রাখে) বা গরানফরোশ (দাম বাড়িয়ে অন্যদের কষ্ট দেয়)-সে কি কখনো তৃপ্ত হয়?
কুরআন এ বিষয়টি অত্যন্ত গভীরভাবে ব্যাখ্যা করেছে। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন:
কিছু মানুষ এমন আছে যাদের খাদ্য হবে শুধু কাঁটা। একদিকে বলেছেন তারা প্রাণীর মতো, বরং প্রাণীর চেয়েও অধম:
«إِنْ هُمْ إِلَّا كَالْأَنْعَامِ بَلْ هُمْ أَضَلُّ»
“তারা তো পশুর মতো, বরং তার চেয়েও পথভ্রষ্ট।”
যখন তারা পশুর চেয়েও নীচ হয়ে গেছে, তখন তাদের খাবারও পশুর মতো-মরুভূমির কাঁটা ছাড়া আর কিছু নয়।
কুরআনের আরেক আয়াতে বলা হয়েছে:
«لَيْسَ لَهُمْ طَعَامٌ إِلَّا مِن ضَرِيعٍ»
“তাদের জন্য কোনো খাদ্য নেই, কেবল ‘জারী’ (মরুভূমির কাঁটা)।”
“জারী” অর্থ সেই কাঁটা গাছ যা মরুভূমিতে জন্মায়।
তারা জীবনে কেবল অন্যদেরকে কাঁটা দিয়েছে-কারো ওপর জুলুম করেছে, পণ্য মজুত করেছে, বা অন্যায়ভাবে দাম বাড়িয়েছে-তাই আখিরাতে তাদের খাদ্যও কাঁটা ছাড়া কিছু নয়।
হিজাজের কিছু প্রাণী যেমন উট এই কাঁটা খেয়ে পেট ভরে ফেলে, কিন্তু এই লোভী মজুতদার বা দামবৃদ্ধিকারী-সে কি কখনও পরিতৃপ্ত হয়? না!
সে সবসময় ক্ষুধার্ত থাকে, ক্রমাগত কাঁটা খেতে থাকে, অথচ তৃপ্ত হয় না।
কুরআনেই বলা হয়েছে:
«لَيْسَ لَهُمْ طَعَامٌ إِلَّا مِن ضَرِيعٍ، لَا يُسْمِنُ وَلَا يُغْنِي مِن جُوعٍ»
তাদের খাদ্য হবে কেবল কাঁটা; যা না শরীর মোটা করে, না ক্ষুধা নিবারণ করে।
দুনিয়ায় যেমন একজন মানুষ একবার খাবার খেলে কিছু সময়ের জন্য তৃপ্ত থাকে, আখিরাতে এমনটি হবে না।
যারা অন্যদের কাঁটা দিয়েছে, তারা সেখানে শুধু কাঁটাই খাবে-বারবার, অবিরাম-কিন্তু কখনও তৃপ্ত হবে না।
(সূত্র: জুমার খুতবা, ১৩৭১/১২/২৮ — হযরত আয়াতুল্লাহ জাওয়াদী আমুলী)
আপনার কমেন্ট