হাওজা নিউজ এজেন্সি: খুজেস্তান প্রদেশ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য হুজ্জাতুল ইসলাম রাফিয়ি আজ আহওয়াজে ফার্স নিউজ এজেন্সিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েলের অপরাধে অংশীদার। একদিকে তারা ইসরায়েলের কার্যকলাপকে সমর্থন করেছে, অন্যদিকে মধ্যস্থতাকারীর ছদ্মবেশে তাকে রক্ষা করেছে।”
হুজ্জাতুল ইসলাম রাফিয়ি বলেন, “গাজার ওপর চালানো গণহত্যার কলঙ্ক কখনোই আমেরিকা ও তার পশ্চিমা মিত্রদের কপাল থেকে মুছে যাবে না। বিশ্বজুড়ে স্বাধীনচেতা জনগণ ইতিহাসের সঠিক পাশে দাঁড়িয়েছে এবং আর ট্রাম্পের অভিনয়ভিত্তিক কৌশলে বিভ্রান্ত হবে না।”
তিনি আমেরিকার ফিলিস্তিন-সম্পর্কিত প্রতিশ্রুতি না রেখে চুক্তি লঙ্ঘনের ইতিহাসও উল্লেখ করে বলেন, “ইয়াসির আরাফাত ওসলো চুক্তিতে আমেরিকার গ্যারান্টিতে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন এবং পশ্চিম তীর ও গাজায় ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আশায় ইসরায়েলের অধিকাংশ দখলকৃত ভূমি সম্পর্কে বাস্তবচিন্তা করেছিলেন; কিন্তু গত ৩০ বছরে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন ঘটেনি।”
হুজ্জাতুল ইসলাম রাফিয়ি আরও বলেন, “আমেরিকার ওপর কোনোভাবেই ভরসা রাখা যায় না। মুসলিম দেশগুলো তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতাটি যথাযথভাবে কাজে লাগায়নি এবং আমেরিকার ওপর যথেষ্ট চাপ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। এখন তাদের যুদ্ধবিরতির শর্তাবলীর সঠিক বাস্তবায়ন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে; বিশেষত মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোকে কেবল চুক্তি স্বাক্ষর পর্যন্ত সীমাবদ্ধ না থেকে বাস্তব প্রয়োগের দায়িত্বও গ্রহণ করতে হবে।”
প্রতিরোধ অক্ষের শক্তি ও গাজার জনগণের প্রতিরোধজোরকে স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন, “ইসরায়েলের সাময়িক প্রত্যাহার হয়তো স্থায়ী নয়; তবে বিশ্বজনমতের তীব্র সমর্থন, গাজার তরুণদের অদম্য প্রতিরোধ, ইয়েমেনসহ অন্যান্য সমর্থক ফ্রন্টের সহায়তা এবং ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি—এসবই ভবিষ্যতে নতুনভাবে নৃশংসতা শুরু করা কঠিন করে তুলবে।”
শেষে হুজ্জাতুল ইসলাম রাফিয়ি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, “ট্রাম্পের গাজায় কোনও বিদেশি সরকার গঠন করা হলে তা বাস্তবে টিকে থাকবে না; গাজার জনগণ এসব কল্পনাপ্রসূত পরিকল্পনা গ্রহণ করবে না। ফিলিস্তিনিদের ঐক্যই অপরাধের বিরতি নিশ্চিত করার একমাত্র কার্যকর পথ এবং মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে ফিলিস্তিনি জনগণের স্ব-নির্ধারণ ও স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকারের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে।”
আপনার কমেন্ট