হাওজা নিউজ এজেন্সি: হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মুহাম্মদ বাকের মুহাম্মাদি লায়েনি সাড়ি শহরের আল-যাহরা (সা.আ.) বিশেষায়িত হাওযা মাদ্রাসার ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে এক নৈতিক আলোচনায় বলেন— “যদি কোনো শিক্ষক নৈতিক শিক্ষার সবচেয়ে গভীর ভিত্তি নির্ধারণ করতে চান, তবে তা নিঃসন্দেহে হবে পবিত্র ইমাম মাহদী (আ.ফা.)-এর সঙ্গে সম্পর্ক। কারণ তিনি নূরের উৎস, উদারতার কেন্দ্র ও পবিত্রতার প্রতীক। তাঁর থেকে বিচ্ছিন্নতা মানুষকে সঠিক নৈতিক পথ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।”
তিনি পবিত্র কুরআনের সূরা যুমারের ৬৯ নম্বর আয়াত এবং ইমাম সাদিক (আ.)-এর একটি হাদীস উদ্ধৃত করে বলেন— “ইমাম হলেন পৃথিবীর নেতা, আল্লাহর প্রতিনিধি ও তাঁর খলিফা। সমগ্র সৃষ্টিজগৎ তাঁর অস্তিত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত ও নির্ভরশীল।”
তিনি আরও বলেন— “ইমামই সময় ও পৃথিবীর মালিক ও পরিচালক। তাঁর সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক নৈতিকতা সংরক্ষণ ও আত্মশুদ্ধির জন্য অপরিহার্য।”
হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মুহাম্মদি লায়েনি বলেন— “প্রত্যেক মুমিনের অন্যতম বড় আশা হওয়া উচিত হযরত ইমাম মাহদী (আ.ফা.)-এর দরবারে হাযির হওয়ার তৌফিক লাভ ও শাহাদতের মর্যাদা অর্জন। কারণ শাহাদত এক মহান করামত, আর এর প্রতি উদাসীনতা দুর্বল ঈমানের লক্ষণ।”
তিনি উপদেশ দেন— “আমাদের সর্বদা হযরত ওয়ালিয়ে আসর (আ.ফা.)-এর স্মরণ হৃদয়ে জাগ্রত রাখা উচিত। প্রতিটি সমাবেশ শেষে ‘السلام علیک یا صاحب الزمان’ বলে তাঁর প্রতি সালাম ও তাওয়াসসুল বজায় রাখলে, তাঁর দোয়া ও অনুগ্রহ আমাদের অন্তরে প্রবাহিত হবে।”
তিনি আরও বলেন— “ইমাম মাহদী (আ.ফা.) হচ্ছেন শত্রুর মোকাবিলায় ধৈর্য ও স্থিতির আশ্রয় এবং ইসলামী বিপ্লব ও ব্যবস্থার রক্ষাকারী শক্তি। গত চার দশকের শত্রুদের চাপ ও নিষেধাজ্ঞা তাঁর অনুগ্রহেই ব্যর্থ হয়েছে।”
শেষে তিনি সতর্ক করেন— “ইমাম মাহদী (আ.ফা.)-এর প্রতি গাফিলতি মানুষকে বিপথগামী করে ও হকের পথ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। তাই আল্লাহর স্মরণ, ইমামের প্রতি তাওয়াসসুল এবং আত্মিক সম্পর্ক— এগুলিই হৃদয়ের পবিত্রতা ও সত্যপথে অবিচল থাকার নিশ্চয়তা প্রদান করে।”
আপনার কমেন্ট