হাওজা নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুলতানপুরে আয়োজিত এই সেমিনারে বক্তারা স্যার সাইয়্যদের শিক্ষাগত অবদান এবং তাঁর সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির ওপর আলোকপাত করেন।
বক্তাদের মূল বক্তব্যসমূহ:
১. শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ:
সভাপতির ভাষণে সমাজকর্মী শাকিল আহমদ বলেন, স্যার সাইয়্যদ শিক্ষা ক্ষেত্রে যে অসাধারণ কাজ করেছেন, তা আমাদের অনুসরণ করা উচিত। তিনি অভিভাবকদের আহ্বান জানান, যেন তারা তাঁদের সন্তানদের আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ করে দেন।
২. শিক্ষা মিশন:
প্রধান অতিথি হাজি শামীম বলেন, জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া-ই ছিল স্যার সাইয়েদের আসল মিশন। তিনি বলেন, শুধু স্যার সাইয়্যদ দিবস উদযাপন করলেই হবে না; প্রতিটি শহরে তাঁর আদর্শে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা প্রয়োজন।
৩. আলীগড়ের গুরুত্ব:
অ্যাডভোকেট সাইয়্যদ জাহির জায়েদি বলেন, আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় কেবল একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি সভ্যতার প্রতীক। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি ছাত্রছাত্রী এবং একশোরও বেশি শিক্ষাবিভাগ রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
৪. শিক্ষাই উন্নতির পথ:
ড. কামালুদ্দিন খান বলেন, শিক্ষা এমন একটি হাতিয়ার যা জাতির মর্যাদা উঁচুতে রাখতে পারে। দেশ ও সমাজকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিতে হলে স্যার সাইয়্যদের নীতিকে অনুসরণ করতে হবে।
৫. আন্দোলনকে জীবিত রাখার আহ্বান:
ড. আদীব আহমদ সিদ্দিকি বলেন, স্যার সাইয়্যদ যে আলীগড় আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তা চিরকাল জীবিত রাখার প্রয়োজন রয়েছে।
৬. কাব্যিক শ্রদ্ধাঞ্জলি:
কওসার জায়েদি স্যার সাইয়্যদ আহমদ খানের অর্জনগুলোর ওপর আলোকপাত করে একটি কবিতার মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
সমাপনী পর্ব:
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আকিল সুলতানপুরী। এ সময় আদিল কামাল, ইকবাল ভারতী, এম. খান অ্যাডভোকেট গৌরী, মুহররম আলী, অ্যাডভোকেট ফারুখ আলীগড়, ড. মাসুদ সারদার, সাদাত ওয়ালি এবং অন্যান্য বক্তারাও স্যার সাইয়্যদ আহমদ খানের ব্যক্তিত্ব ও তাঁর শিক্ষা আন্দোলন বিষয়ে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন।
আপনার কমেন্ট