হাওজা নিউজ এজেন্সি: শিক্ষার পথে শিশুকে অনুপ্রাণিত করতে হলে প্রথমে তার মানসিক অবস্থা, অনুভূতি ও আগ্রহকে বুঝতে হবে। তারপর স্নেহ, ধৈর্য ও ইতিবাচক আচরণের মাধ্যমে তাকে শেখার প্রতি আগ্রহী করে তোলা সম্ভব। কারণ প্রেরণাই (মোটিভেশন) হলো প্রতিটি গভীর ও অর্থবহ শিক্ষার মূল চালিকাশক্তি—যা শিশুকে জ্ঞানার্জনের পথে টেনে রাখে এবং বিকাশের দ্বার উন্মুক্ত করে।
পরোক্ষ শিক্ষা বা নন-ডাইরেক্ট টিচিং এমন এক কার্যকর পদ্ধতি, যেখানে শিশু আদেশ বা বাধ্যবাধকতার পরিবর্তে উদাহরণ, গল্প, খেলা, কিংবা বাস্তব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শিখে। এভাবে ধীরে ধীরে সে নিজের ভুল বুঝতে শেখে এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে সঠিক পথে ফিরে আসে।
অতএব, ধৈর্য, সঙ্গ এবং ভালোবাসা— এই তিনটি গুণ একত্রে শিশুর শেখার প্রেরণাকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে। যখন শিশু অনুভব করে যে তার শিক্ষক বা অভিভাবক তাকে বোঝে, তার পাশে আছে এবং তাকে সম্মান করে, তখন সে নতুন করে শেখার আনন্দ ও আগ্রহ খুঁজে পায়।
সূত্র: হাওজা ইলমিয়ার তাবলিগ বিষয়ক উপদপ্তরের প্রযোজনা ব্যাংক
আপনার কমেন্ট