হাওজা নিউজ এজেন্সি: হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন আখতারি বলেন—হযরত যাহরা (সা.আ.)-এর আদর্শ শুধু আধ্যাত্মিকতা নয়; বরং নৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের সব দিক জুড়ে বিস্তৃত। সংক্ষিপ্ত জীবনে তিনি নারী–পুরুষ উভয়ের জন্য সম্পূর্ণ জীবনমডেল উপস্থাপন করেছেন।
ধর্মীয় ও সামাজিক জীবন—এক অপরের পরিপূরক
হুজ্জাতুল ইসলাম আখতারি বলেন—হযরত যাহরা (সা.আ.) তাঁর আচরণ ও আমলের মাধ্যমে দেখিয়েছেন যে ধর্মীয় জীবন ও সামাজিক দায়িত্ব একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। ইবাদত, নৈতিকতা, পরিবার রক্ষা, সন্তান লালন ও জনগণের অধিকার—সব ক্ষেত্রেই তিনি অনুকরণীয়।
আইয়্যামে ফাতিমিয়া: কেবল শোক নয়, শিক্ষারও মৌসুম
তিনি আইয়্যামে ফাতিমিয়া উপলক্ষে শিক্ষামূলক, বিশ্লেষণভিত্তিক ও গবেষণাধর্মী কার্যক্রম বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে বলেন—এ সময় শুধুই শোকের নয়; বরং ফাতিমীয় চিন্তা ও মূল্যবোধকে আধুনিক ভাষায় তরুণদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।
আইয়্যামে ফাতিমিয়া অনুষ্ঠানকে অর্থবহ করার প্রয়োজনীয়তা
হুজ্জাতুল ইসলাম আখতারি বলেন— আইয়্যামে ফাতিমিয়ার শোক অনুষ্ঠান শুধু সাদামাটা মাতমের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বক্তৃতা, আলোচনা, বিশেষায়িত সেমিনার ও ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে এর প্রভাব বাড়াতে হবে, যাতে সমাজে ফাতিমীয় বার্তা গভীরভাবে স্থান পায়।
তরুণ প্রজন্মের নৈতিক ও সামাজিক গঠনে সীরাতের ভূমিকা
তিনি বলেন—হযরত যাহরা (সা.আ.)-এর সীরাত তরুণদের নৈতিক, দায়িত্বশীল ও সমাজসচেতন করতে পারে। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা কেন্দ্রে তাঁর জীবন ও ভূমিকা নিয়ে কাঠামোবদ্ধ কর্মসূচি প্রয়োজন।
নারীর সামাজিক অংশগ্রহণে ফাতিমীয় আদর্শ
তিনি বলেন—হযরত যাহরা (সা.আ.) প্রমাণ করেছেন যে নারী পবিত্রতা ও নৈতিকতা বজায় রেখে সমাজে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারেন। ইসলাম নারীকে সম্মানজনক ও কার্যকরভাবে সমাজে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়েছে।
মুবাল্লিগদের জন্য বিশেষ দায়িত্ব
শেষে তিনি বলেন, মুবাল্লিগদের উচিত সহজ ও প্রয়োগযোগ্য ভাষায় ফাতিমীয় শিক্ষা প্রচার করা, যাতে তরুণরা সীরাত থেকে বাস্তব জীবনপাঠ গ্রহণ করতে পারে।
আপনার কমেন্ট